বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের ১ দফা দাবিতে পদত্যাগ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৈঠক শেষে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন সেনাপ্রধান। কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ঢাবি শিক্ষক আফিস নজরুল ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও বৈঠকে ছিলেন।
ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আহ্বান, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়ি।
এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহত ছাত্র-জনতার প্রতিবাদে গোটা দেশ যখন উত্তাল, ঠিক সে সময় এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে সরকার। ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ঘটনার ৪ দিন না যেতেই এবার জামায়াত আমির জায়গা করে নিলেন অন্তবর্তী সরকার গঠনে নিয়ে সেনাপ্রধানের বৈঠকে।
বাংলা৭১নিউজ/একে