বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: অনুমোদন ছাড়াই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উড়েছিল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি। একইসংগে অনুমতি ছাড়াই কপ্টারটি ফেরার পথে যাত্রী বহন করে।
তবে একই কোম্পানির অপর একটি হেলিকপ্টারের ওই রুটে চলাচলের অনুমোদন রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা মেঘনা এভিয়েশনের দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে। এর একটি ঢাকা-বরিশাল এবং অপরটি ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে।
ওইদিন সাকিবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কক্সবাজার যাত্রী নামিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে কপ্টারটি সাকিবকে নিয়ে ইনানি বিচ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিবহন সংস্থাটির যে হেলিকপ্টারটি সাকিবকে বহন করেছে সেটির ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলেরই অনুমতি নেই।
নিয়ম ভঙ্গ করে এক রুটের কপ্টার অন্য রুটে চালানো হয়েছে। এমনকি ইনানি বিচ পর্যন্ত কপ্টারটি যাত্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টিকে গুরুতর অপরাধ বলেই দেখছেন ওই কর্মকর্তা।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তদন্ত দলের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সেলফি তুলতে গিয়েই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে সাকিবকে বহনকারী কপ্টারটি উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের রেজু খাল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ইনানির হোটেল সি পার্লে সাকিবকে নামিয়ে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস