বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কালামৃধা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অরবিন্দু বালার বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনা ,অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে যোগদানের পর থেকে কেন্দ্রটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অভিযোগে প্রকাশ ওই কর্মকর্তা অফিস চলাকালীন সময়ে নিজ কক্ষে এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামানের কক্ষে বসেই তার বিরুদ্বে রোগী দেখে ফি নেওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।এর বাবদ প্রতিমাসে ডাঃ অরবিন্দু বালা ওই পরিদর্শককে ভাড়াবাবদ ২ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন বলে প্রকাশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ১০ নং কালামধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মাতুব্বর লিটু এর পরিষদের প্যাডেএক লিখিত অভিযোগে জানান, ডাঃ অরবিন্দু বালা অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতালের সেবার কাজ বাদ দিয়ে প্রাইভেট রোগী দেখে ব্যস্ত সময় পার করেন।
তিনি প্রায়ই রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং স্থানীয় কতিপয় মাস্তানপ্রকৃতির লোকজনের ছত্রছায়ায় থেকে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে ।এতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি হয়েছে।অপরদিকে ইতপুর্বে ওই স¦াস্থ্যকেন্দ্রটির স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত থাকলেও বর্তমানে সেবার মান সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌছেছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্নত প্রসুতি সেবা দিয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবছর এমনকি জাতীয় পর্যায়ে ৩ বার বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও বর্তমানে এর সেবার মান বেশ হতাশাজনক।তাছাড়া তিনি হাসপাতাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসাসেবা না দিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে পাঠিয়ে দেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্ররা।
চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় জনৈক মোঃ বজলুর রহমান বলেন ,বর্তমানে দায়িত্বরত চিকিৎসক কোন অর্থ ছাড়া চিকিৎসাসেবা দেননা।তাই অনেক রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে না গিয়ে অন্যত্র চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় যুবক মোঃ শিপন বলেন ,ওই চিকিৎসকের চিকিৎসার মান ভাল নয়।বেশী দিন তিনি চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকলে হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা ভেঙ্গে পড়বে।চিকিৎসা নিতে আসা জনৈক রাকিব নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন অসুস্থ্য অবস্থায় আমার বোনকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে দিয়ে চিকিৎসা করাই ।কিন্ত সুস্থ্য হবার পরিবর্তে আমার বোন আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।পরে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা করাই ।আমার বোন ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ আবুল হাশেমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্বে অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে। অপরদিকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনাদী রঞ্জন মজুমদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার অরবিন্দু বালার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্বে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।আমার সুনামকে ক্ষুন্ন ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রিমহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস