শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

অনলাইনে বাড়ছে জঙ্গি তৎপরতা, নজরদারি কতটা?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: জঙ্গি কাজের সাথে যারা জড়িত অনলাইনে তাদের তৎপরতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভাষায় এ ধরনের বহু ওয়েবসাইট ভিডিও এবং অডিও পাওয়া যায়।

বাংলা ভাষাতেও এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট আছে যেগুলো সরাসরি জঙ্গি কার্যক্রমকে উসকে দিচ্ছে।

র‌্যাব দাবী করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি পরিচালিত ‘আত-তামকীন’ নামের একটি জঙ্গি ওয়েবসাইটের সাথে সম্পৃক্ত ছয়জনকে আটক করেছে তারা। আটককৃতদের মধ্যে এক ব্যক্তিকে সে পেজটির অ্যাডমিন বলে বর্ণনা করছে র‌্যাব।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জঙ্গিদের ইন্টারনেট-ভিত্তিক তৎপরতা অনেক ব্যাপক বলে মনে করেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক বি এম মইনুল হোসেন মনে করেন ইন্টারনেটে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলা করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জিং কাজ। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী যেমন জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রমের পেছনে ছুটছে তেমনি জঙ্গিরাও নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘ফেসবুকে ‘সালাউদ্দিনের ঘোড়া’ নামের একটি পেজ আছে যেখান থেকে উগ্রবাদীরা তাদের ভাষায় ‘ইসলাম-বিরোধী’ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে।’

পুলিশ বলছে, অনলাইনে এ ধরনের তৎপরতার বিষয়গুলো তাদের নজরে আছে। অনেক সময় এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করার দাবীও করা হয়।

পুলিশ বলছে ‘সালাউদ্দিনের ঘোড়া’ নামের ফেসবুক পেজটিকে কয়েকবার বন্ধ করা হলেও সেটি আবার খোলা হয়েছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মইনুল হোসেন বলছেন, ‘এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে প্রযুক্তি ব্যবহারে কে কার চেয়ে এগিয়ে সেটার উপর। যদি অপরাধীরা প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে থাকে তাহলে তারা উইন ( জিতবে) করবে। আর যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে থাকে তাহলে তারা জিতবে।’

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন উগ্রবাদের সমর্থনে যখন কোন ওয়েবসাইট বা পেজ খোলা হয়, তখন অনেকে সেসব পাতায় ভিজিট করে, লাইক দেয় কিংবা কমেন্ট করে। তখন উগ্রবাদীরা সেখান থেকে কোন কোন ব্যক্তিকে তাদের দলে ভেড়ানোর টার্গেট করে।

পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন-ফেসবুক, ইউটিউব এবং নানা ধরনের ওয়েবসাইটে উগ্রবাদের সমর্থনে বিভিন্ন ধরনের বিষয় থাকে। যারা এসব কাজে নিজেদের জড়িত করছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন, ‘ইন্টারনেটে জঙ্গি তৎপরতার উপর নজরদারি এবং জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য নবগঠিত কাউন্টার টেরোরিজমের আওতায় একটি ইউনিট কাজ করছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলার জন্য পুলিশের যেমন ইউনিট আছে তেমনি বিষয়টির দিকে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য কিছু গোয়েন্দা সংস্থারও নজরদারী আছে।’

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘উগ্রবাদের সমর্থনে কোন ওয়েবসাইট যদি বিদেশ থেকে পরিচালিত হয় তাহলে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ দেশের ভেতরের কেউ যাতে সেটি দেখতে না পারে সেজন্য ব্লক করে দিতে পারে। এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইট বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। কিন্তু একটি সাইট বন্ধ করে দিলে আরেকটি সাইট খোলা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন দেশের ভেতর থেকে উগ্রবাদের সমর্থনে যেসব ইন্টারনেট-ভিত্তিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে সেগুলোকে তারা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করে বাংলাদেশের ভেতরে থেকেও কেউ যদি দেশের বাইরের সার্ভার ব্যবহার করে এ ধরনের কাজ করে তাহলে অপরাধীকে সনাক্ত করা যেমন সম্ভব তেমনি নিজেদের আড়াল করার জন্য অপরাধীরাও নানা ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে পারে।

তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মইনুল হোসেন বলেন, ‘বিশেষ কিছু সফটওয়্যার আছে। এগুলো যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে আপনি কোন কম্পিউটার থেকে ব্রাউজ, কোথায় অবস্থান করছেন–সেটা একটা ফলস (ভুয়া) আই ডি করে দেয়া হয়।’

মইনুল হোসেন বলছেন, ‘প্রযুক্তির দৌড়ে কে কতটা এগিয়ে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্রযুক্তি ব্যবহারে অপরাধীরা যদি নিরাপত্তা বাহিনীর চেয়ে বেশি দক্ষ হয়, তাহলে তাদের সনাক্ত করা মুশকিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেছেন, অনলাইনে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বাড়তি সরঞ্জাম আছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com