বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) একটি গতিশীল প্রতিষ্ঠানের নাম। গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং বিদ্যুৎ সুবিধা গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এই প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা সকলের জানা। মূলত বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের যে মহাপরিকল্পনা তা বাস্তবায়নের অন্যতম রূপকার হিসাবে এ প্রতিষ্ঠানটিই নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির এমন গতি যিনি এনেছেন তিনি মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব)।বিআরইবি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। সরকার তার কাজে এতটাই সন্তুষ্টু যে, গত ১০ জানুয়ারি ২০১৮ হতে সরকার তাকে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেছেন।
মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব) এই নিয়োগকে আর বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। আর এ লক্ষ্যেই তিনি তার নতুন পরিকল্পনা কী হবে তা বিআরইবি’র প্রতিটি অফিসে লিখিতভাবে পাঠিয়েছেন। তার এই পরিকল্পনা সম্বলিত লেখাটি বাংলা৭১নিউজ এর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা হলো ঃ
১।আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি বিগত ২৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। কর্তব্যরত অবস্থায় সরকার আমাকে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন। ০১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বয়স ৫৬ বছর পূর্ণ হওয়ায় আমার অবসর গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সরকারের সানুগ্রহে আমার চাকুরী এক বছরের জন্য বৃদ্ধি হয় এবং এ প্রতিষ্ঠানেই আমাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়। বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে আমি আরইবি হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করি এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করি। ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত আমি পিআরএল ভোগরত ছিলাম। ১০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ হতে সরকার আমাকে তিন (০৩) বছরের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেন। আমি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের নিকট শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য বর্তমান সরকার; বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট গভীর শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
২। আমি মনে করি এটা আমার জন্য অসামান্য উপহার। এ প্রাপ্তিতে আপনাদের শতভাগ সমর্থন, পরিশ্রম ও ত্যাগ ছিল। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সৃষ্ট সাফল্যের ফলাফল হিসেবে আজ আমি এ সুবিধাটুকু প্রাপ্ত হয়েছি। আপনারা আমাকে চেয়েছেন বলেই আমি পুননিয়োগ পেয়েছি। আপনাদের মাঝে ফিরে এসে আমি খুবই আনন্দিত ও গৌরবান্বিত। আমি আপনাদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব অতীতের মতো নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালনের অঙ্গিকার করছি। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। একই সাথে আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করছি।
৩। আমার প্রতি সকলের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাই আমার এ নিয়োগ খুবই চ্যালেঞ্জিং। ২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় অঙ্গিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ পুরণ করতে হবে। আপনাদের উঁচু মনোবল, কঠোর পরিশ্রম করার দৃঢ় প্রত্যয়, সততা ও নিষ্ঠা, ভাবমূর্তি উন্নয়নে আগ্রহ ইত্যাদিতে আমি সাহসী হই এবং কাজ করার শক্তি খুঁজে পাই। তাই সর্বদা আমি আপনাদেরকে আমার পাশে চাই। আপনাদের সহযোগিতায় ইন্শাআল্লাহ্ আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনে সক্ষম হবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
৪। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় পল্লী বিদ্যুতায়নে দৃষ্টি নন্দন সর্বজন স্বীকৃত উন্নয়ন ও সাফল্যের এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৩০ বছর এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি ০৯ বছরের কর্মকান্ড আমি আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলনামূলকভাবে
নিম্নে উপস্থাপন করলাম ঃ
৫। দেশের পল্লী অঞ্চলের প্রায় ৭৮ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট অবিদ্যুতায়িত এলাকার জনগনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ “ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে উপজেলা ভিত্তিক শতভাগ এলাকা পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪৭টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এর মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩৬টি উপজেলার শুভ উদ্বোধন করেছেন এবং ১১১টি উপজেলা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ঈর্শ্বনীয় সাফল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আমাদের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন যা আপনারা ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। এটা আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও কঠোর পরিশ্রমের উত্তম ফলাফল। আপনাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মার্চ ২০১৮ এর মধ্যে আরও ৫৯টি, জুন ২০১৮ এর মধ্যে ৮৪টি এবং সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে অবশিষ্ট ১৭০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে যাতে সকল উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা যায় সে জন্য গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে আমি আপনাদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলাগুলোর শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
৬। ৩১,০২৬ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৬ টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান আছে। আরও ৭টি প্রকল্প বিবেচনাধীন রয়েছে। ১০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ক্রয়ের জন্য প্রস্তাব ঈঈএচ তে প্রেরিত হয়েছে। আরও ৩১ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ক্রয়ের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ডই, অউই, অওওই, ওউই, ঔওঈঅ ইত্যাদি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এ প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
৭। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে টেলিটকের ২৩,৬৩০ টি সংগ্রহ পয়েন্ট থেকে এসএমএস (ঝগঝ), উরমরঃধষ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঈবহঃবৎ (উওঈ) এবং অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। একই সাথে গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ বিলের তথ্য ঝগঝ এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জানতে পারছেন। ফলে গ্রাহকগণ সুবিধামত স্থান ও সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন। আরইবির সদর দপ্তরসহ সমিতিসমূহে গ্রাহক সেবার মান যাচাইয়ের জন্য একটি অনলাইন সিষ্টেম চালু করা হয়েছে/হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ সেবার বিষয়ে মতামত প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও আরইবির সদর দপ্তর ভবনের দৃশ্যমান স্থানে একটি ¯্র‹ল বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আরইবির কার্যক্রমের অগ্রগতির আপডেট নিয়মিত প্রদর্শিত হচ্ছে। স্বচ্ছতার স্বার্থে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের ক্রয় প্রক্রিয়া ব-এচ এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এই পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০টি ক্রয়কার্য ব-এচ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। এভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কালজয়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান একাত্ম হয়ে কাজ করছে।
৮। ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সার ব্যাটারি চার্জিং এর জন্য ১৪টি সোলার চার্জিং ষ্টেশন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তম্মধ্যে ৭টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ইজিবাইক চার্জিং এর প্রবণতা হ্রাস পাবে। ১৫টি উপজেলা সদরের প্রত্যেকটিতে ৩০ কিলোওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার চার্জিং প্যানেল স্থাপনসহ ৪০টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আরও ২০০০টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং অনুমোদনাধীন রয়েছে।
৯। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০১৬ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের সেরা সরকারী বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনীত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। সমিতিসমূহের কর্মদক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পর পর ৩ বছর আমরা কচও বোনাস অর্জন করেছি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কচও লক্ষ্যমাত্রা মূল্যায়নে এ প্রতিষ্ঠান ৯৯% নম্বর অর্জন করে সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে এবং ০২ টি বোনাস প্রাপ্ত হয়েছে। এটা আপনাদের পরিশ্রম ও একাগ্রতার এক অনন্য স্বীকৃতি। এ জন্য আমি আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং সহসা বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাজের গুণগতমানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে ISO-QMS 9001:2008 অর্জন করে এবং এর ধারাবাহিক উন্নতির ফলে ২০১৬ সালে ISO-IMS (ISO 9001, ISO 14001 & OHSAS 18001 Certified) অর্জন করে। এ অর্জন বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনন্য। ইতোমধ্যে ১৯ টি সমিতি ওঝঙ (ছগঝ ৯০০১) অর্জন করেছে এবং আরও ২৫ টি সমিতির জন্য এ কার্যক্রম চালু আছে। পরবর্তীতে অন্যান্য সমিতির জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের এ সকল অর্জন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং সমিতিগুলোর সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সমিতিবোর্ড, সরবরাহকারী, ঠিকাদার/উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানসহ সকলের সার্বিক প্রচেষ্টা ও ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস পরিশ্রমের ফসল। এ সকল অর্জনের জন্য আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে ভবিষ্যতেও আমাদের এ অগ্রযাত্রা ও সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
১১। প্রতি মাসে ০৩ লক্ষাধিক গ্রাহক/পরিবারকে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। কেবলমাত্র বিগত ৩০ মাসে ৯১ লক্ষ গ্রাহক/ পরিবারকে সংযোগ দিয়ে আমরা যুগান্তকারী উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছি। ফলশ্রুতিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। দেশের পল্লী অঞ্চলে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটায় বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর্থিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, দেশের শিক্ষার হার ও সুযোগ বৃদ্ধিসহ গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। এছাড়া কৃষি বিপ্লবের কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অধিক ফসল উৎপাদন ও বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ শিশু মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচী সার্বিকভাবে দেশের জিডিপির অগ্রগতিতে প্রত্যক্ষ প্রভাব রাখছে।
১২। বিআরইবি’র বার্তমান গ্রাহক সংখ্যা ০২ কোটি ১২ লক্ষ। ০২ কোটি গ্রাহক পূর্তি উদ্যাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যায় ০২ কোটি গ্রাহক পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ প্রেক্ষিতে আপনাদেরও সার্বিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
১৩। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিছুটা কষ্টকর এবং চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে অবশ্যই অসম্ভব নহে। সুদৃঢ় মনোভাব, উঁচু মনোবল, ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই যথাসময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো ইন্শাআল্লাহ্। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে মাঠ পর্যায়ে কার্য সম্পাদনের জন্য সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করতে হবে। দ্রুততার সাথে পোলসহ যাবতীয় মালামাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প পরিচালকসহ বিআরইবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শন, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং দূর্বলতাসমূহ চিহ্ণিতকরণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুততার সাথে গ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে আমি নি¤œ বর্ণিত নির্দেশনাবলী প্রদান করছি ঃ
(ক) আগামী গ্রীষ্মে সেচ কার্যক্রমের সাথে রমজান ও বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে বিধায় বিদ্যুতের চাহিদা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই গ্রীষ্মের পূর্বেই ৩৩ ও ১১ কেভি লাইন, ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র, বিতরণ ট্রান্সফরমার ইত্যাদির ক্ষেত্রে স্বক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেচ কার্যক্রম নির্বিঘেœ পরিচালনার জন্য মালামাল নিশ্চিত করতে হবে। জেনারেল ম্যানেজারগণ এ ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নিবেন।
(খ) মার্চ’১৮ এর মধ্যে ৫৯টি, জুন’১৮ এর মধ্যে ৮৪টি এবং সেপ্টেম্বর’১৮ এর মধ্যে ১৭০টি সহ মোট ৪৬০টি উপজেলা ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
(গ) চলতি অর্থ বছরে ৪০ লক্ষ গ্রাহক সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিচালকগণ (পবিস মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা পরিচালন পরিদপ্তর), নির্বাহী পরিচালক এবং সদস্য (সমিতি ব্যবস্থাপনা) বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। এক্ষেত্রে আমি স্পট মিটারিংকে উৎসাহিত করব।
(ঘ) কিছু কিছু সমিতি স্পট মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সংযোগ প্রদান করছেন। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। এতে গ্রাহক হয়রানি ও দুর্নীতি কমছে। কাজেই প্রত্যেক সমিতি স্পট মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সংযোগ প্রদান করবেন। এতে গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধি পাবে, আরইবি/সমিতির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং হয়রানি ও দুর্নীতি কমবে।
(ঙ) ২০১৭ সালে ২,৯৪,১৪৫টি সেচ পাম্পে সংযোগ দেয়া হয়েছে। চলমান বছরে পেন্ডিং সেচ পাম্পসহ সকল শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দ্রুততার সাথে সংযোগ প্রদান করবেন।
(চ) দেশের মোট ২০,০৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ডিসেম্বর’১৭ পর্যন্ত সংযোগ হয়েছে ১১,৭১৪টি। শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় সেপ্টেম্বর’১৮ এর মধ্যে ৭,৬৯০টি বিদ্যালয়ে সংযোগ প্রদান করতে হবে। অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলো অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানীর এবং অফ-গ্রীড এলাকাভূক্ত।
(ছ) বিইআরসি কর্তৃক ইতোমধ্যে ট্যারিফ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ট্যারিফকে ভিত্তি ধরে ব্যয় হ্রাস করা, সিষ্টেম লস কাঙ্খিত পর্যায়ে নেমে আনা ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহন করে সমিতিগুলোকে আর্থিক ভাবে সাবলম্বি করতে হবে।
(জ) শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের মিটার নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আমি আপনাদের বারবার পরামর্শ দিয়েছিলাম। শিল্প/কারখানা/প্রতিষ্ঠানসমূহের মিটারে অনেক অনিয়ম রয়েছে। এতে সমিতিসমূহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মিটারগুলো নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করার ফলে মামলা হচ্ছে এবং বিইআরসি কর্তৃক অসন্তেুাষ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে আরইবি/সমিতিসমূহের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মিটারগুলো নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আমি পুণরায় অনুরোধ জানাচ্ছি। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বিইআরসি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আরইবি হতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এটা সমিতির স্বক্ষমতা ও সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
(ঝ) কিছু কিছু সমিতিতে অর্থ তছরূপের ঘটনা ঘটেছে। সে জন্য এক সমিতির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অন্য সমিতিতে ক্রস অডিট করানো হয়েছে এবং কিছু অনিয়ম চিহ্ণিতও হয়েছে। পুনরায় এ অডিট শুরু হবে। এতে বিলিং শাখার ভুলত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে। সদস্য (অর্থ)/নিয়ন্ত্রক (অর্থ ও হিসাব) এ ব্যাপারে ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন এবং ৩১ মার্চ ২০১৮ এর মধ্যে এ অডিট সমাপ্ত করবেন।
(ঞ) প্রত্যেক সমিতির ক্ষেত্রে সিস্টেম লসসহ অচঅ চুক্তির প্যারামিটারসমূহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
(ট) ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ কর্তৃক লাইন নির্মাণের সকল চুক্তি সম্পন্ন করার কথা। পূনঃদরপত্র আহবান বা ডিপিপি পূনঃবিন্যাসের কারণে কোন চুক্তি বাকি থাকলে তা ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে একইভাবে বিআরইবি’র সদর দপ্তর হতে দরপত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে চলতি অর্থ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কিঃ মিঃ লাইন নির্মাণ করা সম্ভব হয়। অনুমোদনের জন্য অযথা সময়ক্ষেপন করা যাবে না। সকল প্রকল্প পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) এবং সদস্য (ডিএন্ডও) বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
(ঠ) সকল সমিতিতে পোলসহ প্রয়োজনীয় সকল মালামাল দ্রুততার সাথে প্রেরণ করতে হবে। সদস্য (ডিএন্ডও), প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) এবং পরিচালক (এমপিএসএস) বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
(ড) লাইন/উপকেন্দ্র নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে জেনারেল ম্যানেজারগণ স্থানীয় বাঁধা অপসারণসহ সকল সহযোগীতা প্রদান করবেন। বাধা দূরীকরণের জন্য গঠিত কমিটিকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
(ঢ) প্রকল্প পরিচালকগণ মাঠ পর্যায়ের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয়ভাবে অফিস চালু করবেন এবং মাঠে অবস্থান করবেন। মাঠে প্রত্যক্ষ উপস্থিতি দ্রুত অগ্রগতি অর্জনে সহায়ক হবে।
(ণ) বর্তমানে বিআরইবি’র ১৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলমান অর্থ বছরে ০১ টি এবং আগামী অর্থ বছরে ০৬ টি প্রকল্প সমাপ্ত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করছি।
(ত) আমাদের নিকট প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে যে, মানুষের বাড়ীঘর, মসজিদ ইত্যাদির উপর দিয়ে লাইন নির্মাণ করা হয়েছে/হচ্ছে। এতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। তাই লাইন পরিবর্তন/ স্থানান্তরের জন্য টজওউঝ (ঊ এবং ড) নামক দুইটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় এসকল লাইন পরিবর্তন/স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করছি।
(থ) নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপজেলাগুলোতে ঠিকাদারদের কর্মতৎপরতা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে দ্রুততার সাথে নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করবেন। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা যাতে দালালদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে চাঁদাবাজিসহ যে কোন ধরণের অনৈতিক কাজে যুক্ত হতে না পারে এবং নির্মাণ কাজ বাঁধাগ্রস্ত না হয় সে দিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখবেন। চাঁদাবাজি বন্ধের উত্তম উপায় হলো দ্রুততার সাথে লাইন নির্মান করে সংযোগ প্রদান করা। মালামাল সরবরাহের জন্য প্রতিনিয়ত পরিচালক (এমপিএসএস) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যে কোন সমস্যা দ্রুততার সাথে সদস্য (ডিএন্ডও) ও প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) কে অবহিত করবেন। সমাধান না হলে বিষয়টি অবশ্যই আমার নজরে আনতে হবে। ইতোমধ্যে দুর্নীতি বিরোধী ও গ্রাহক হয়রানি রোধে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ লিফলেট, ১৬ লক্ষ পোষ্টার এবং মসজিদে মুসল্লিদের অবহিত করার জন্য ইমামদের প্রতি লিখা ৩ লক্ষ পত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সকল সমিতি ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখের মধ্যে জনসংযোগ পরিদপ্তর হতে সংগ্রহ করবেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখের মধ্যে এলাকায় বিতরণ করবেন। সাথে সাথে নিয়মিত মাইকিং এরও ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
(দ) সমিতিসমূহে গ্রাহক সেবার মান যাচাইয়ের জন্য আরইবির ন্যায় অনলাইন গ্রাহক মতামত সিষ্টেম আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে চালু করাসহ সকল সমিতি নিজ নিজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে সমিতির দৃশ্যমান স্থানে স্ক্রল বোর্ড স্থাপন করবেন। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (আইসিটি) এর সহযোগিতা গ্রহণ করবেন।
(ধ) ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে সকল সমিতির নিজস্ব জনবল দ্বারা বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র হতে গ্রাহক প্রান্ত পর্যন্ত এওঝ ডেভেলপমেন্ট কাজ সম্পন্ন করবেন। এজন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে যথাযথ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক এওঝ জবপবরাবৎ সহ সকল ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
(ন) সমিতি কর্তৃক এওঝ ও ঊজঈ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে এবং পোল মার্কিং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
(প) গ্রাহক বান্ধব আচরণ করার জন্য অনুরোধ করছি। এতে আরইবি/সমিতিসমূহের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।
(ফ) প্রত্যেক গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিলের তথ্য ঝগঝ এর মাধ্যমে জানানোর জন্য গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ এর মধ্যে সংগ্রহ করে তা বিলিং সফটওয়্যারে সংরক্ষণ/এন্ট্রি প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি। এ ব্যাপারে অগ্রগতি খুবই মন্থর।
(ব) যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদেরকে শারিরীক ও মানসিকভাব সক্ষম থাকতে হবে। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেকেই হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ নিয়মিত হাঁটা/ ব্যায়াম করা এবং পরিমিত ও সুষম খাবার গ্রহণ করবেন। আমি সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
(ভ) আগামী ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সম্মেলনে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি।
১৪। “বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কাজ হয় না, কিন্তু দেশের জনসংখ্যার শতকরা ১৫ ভাগ লোক যে শহরের অধিবাসী সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকিলেও শতকরা ৮৫ জনের বাসস্থান গ্রামে বিদ্যুৎ নাই। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করিতে হইবে”। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নির্দেশনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরাই অগ্রদূত। “সময় এখন পল্লী বিদ্যুতের- সময় এখন বাংলাদেশের” এ গর্ব আমাদের ধারণ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সকলকে একত্রে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
১৫। পরিশেষে সকলকে নিষ্ঠা, একাগ্রতা, সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং আমাদের একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা “সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের” সাফল্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করছি। ইনশাআল্লাহ্ জাতির পিতার সোনার বাংলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে। ২০১৮ সাল আমাদের জন্য কল্যাণকর হোক এবং বয়ে আনুক সুনাম ও সমৃদ্ধি। এই পত্রটি আপনাদের স্টাফ সভায় উপস্থাপন পূর্বক সকলকে অবহিত/প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি। সকলের প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলের সহায় হোন। খোদা হাফেজ।
লেখক: মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব), চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।