বঙ্গবাজার মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশীল লোকদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে ১২-দলীয় লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্ত যদি হয়, তা হলে সম্ভাবনা আছে এটি বেরিয়ে আসার যে, এটি সম্পূর্ণণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। বহুদিন ধরে আওয়ামী লীগের কিছু শাসকগোষ্ঠীর অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক তারা সেই বঙ্গবাজারকে দখল করার জন্য চেষ্টা করছিলেন, কাজ করছিলেন। আমরা যেটি চেয়েছি যে, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত।’
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার একদিন পর সেখানে বহুতল ভবনের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে— এটিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইয়েস- আমি সেই কথাটাই বললাম। আমি কথা তো সেখানে বলেছি যে, প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্ত যদি হয়, তা হলে বেরিয়ে আসবে যারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী তারাই এটার সঙ্গে জড়িত এবং আমরা …. এই পর্যন্ত বলতে চাই।‘
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরে ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য ধরে আপনি (সাংবাদিক) প্রশ্ন করার সময়ে অন্যরা (সাংবাদিকরা) যেভাবে হাসতে ছিল। আমার মনে হয় রোজার দিনে কষ্ট মানুষের এই হাসানোর জন্য উনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। আর কিছু না।’
রানা প্লাজা (সাভারে গার্মেন্টস কারখানার ভবন) ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল বুঝেন নাই। সেই একই কথা এখানে ওরা বলছে…।
বৃহস্পতিবার আজিমপুরে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতার বিতরণের অনুষ্ঠানে দলটির সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বঙ্গবাজার ও আশপাশের বিপণিবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির ‘হাত’ আছে কিনা তা তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করছেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বঙ্গবাজারসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তা তদন্ত করা দরকার।’
বেলা ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২-দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা আদায়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম ও জাগপার ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/আরএস