বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খুলনার জিরো পয়েন্টে রূপালী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস গরমে অসুস্থ হয়ে ঢামেক কর্মচারীর মৃত্যু দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা-যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে চলছে শ্রমিক সমাবেশ দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! নাটোরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রেস্তোরাঁয় মডেলকে গুলি করে হত্যা ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাম্বিয়ায় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ চীনে গভীর রাতে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯ গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট, আমেরিকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা ধর্ষণের সময় চিৎকার, গলা চেপে ধরায় মারা যায় শিশু ঝুমুর

অং সান সু চির ক্ষমতা আসলে কতটুকু?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা হচ্ছে। চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুর নৃশংসতা। প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে নতুন করে লাখো রোহিঙ্গা। এতে করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় দিন দিন জোরালো হচ্ছে। কারণ সু চি তাঁর সরকারের পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, উগ্রবাদ মোকাবিলাতেই রাখাইনে এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, গত মাসে মিয়ানমারের তল্লাশি চৌকিতে যুগপৎ হামলার জেরে উগ্রপন্থীদের ধরার নামে রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান শুরু করে দেশটির সরকার।

অং সান সু চি মিয়ানমারের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ঐতিহাসিক জয়লাভ করে। এতে দেশটির অর্ধশত বছরের সেনাশাসনের ইতি ঘটে। অং সান সু চি তাঁর দল ও মন্ত্রিসভায় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর বেশির ভাগই নিয়ে থাকেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট থিন কিউকেও সু চির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু দেশটির সংবিধানটি সামরিক সরকারের আমলে করা হওয়ায় পার্লামেন্টে এক-চতুর্থাংশ আসন এখনো রয়ে গেছে সশস্ত্র বাহিনীর অধীনেই। এ ছাড়া সেনাবাহিনী দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণও করে। এগুলো হলো স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ মিয়ানমারের পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে সাসপেন্ড করার ক্ষমতা আছে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের, যেটির ১১টি আসনের ছয়টিই আবার সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত। মিয়ানমারের সাবেক সামরিক কর্তাব্যক্তিদের অনেকে বর্তমানে রয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি খাতের উচ্চ অবস্থানে। দেশটির বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ১৪ শতাংশ, যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—এ দুইয়ের যৌথ বাজেটের চেয়ে কম।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধানদের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করা হয়। স্থানীয় বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ঝামেলাও বেশ পুরোনো। রোহিঙ্গাদের চলাফেরা কিংবা কাজের সুযোগ বরাবরই সীমিত। বলা হচ্ছে যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে যেসব খবর আসছে সেগুলো ভুল তথ্যে ভরা। আরও বলা হচ্ছে, রাখাইনে ঘটা ঘটনাবলির ওপর খুব কমই প্রভাব আছে সু চির। কারণ হলো রাখাইনে মূল ক্ষমতা রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। আর সু চি যদি রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নেন তবে দেশটির সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও ক্ষেপে যেতে পারেন। এ ছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যেহেতু ‘ক্ষমতায়’ থাকার অভ্যাস পুরোনো, তাই সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কাও রয়ে যায়। আর দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে সেনাবাহিনী সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে, সে ক্ষেত্রে সু চির রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ঝুঁকি কতটা যুক্তিযুক্ত, সে প্রশ্নও থেকেই যায়।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com