বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক প্রিন্সিপাল উপ সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস।
মৌলিক অধিকার বিশেষ করে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করার ব্যাপারেও সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছেন তিনি। তিন দিনের সফরের শেষ দিন সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মার্কিন মন্ত্রী। হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাটও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে এলিস ওয়েলস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল আর তা অতি দ্রুত বেড়ে চলেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক কাঠামোগুলো জোরদার করা গেলে তা এদেশের ভবিষ্যত সাফল্যকে এগিয়ে নেবে। আর এ কারণেই আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মৌলিক অধিকার বিশেষ করে বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা করার ব্যাপারে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি। এখানে অংশ নেওয়া বৈঠকগুলোতে আমি যুক্তরাষ্ট্রের এ বার্তাটি পৌছে দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে এমন ধারণা আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ফ্রন্টকে সমর্থন করছিনা।
বরং, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছে। পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। সব রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে এবং স্বাধীনভাবে তার রাজনৈতিক ভিশন ও নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের সামনে প্রদর্শন করতে পারে। সরকার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যারা তারা যেন এ সুযোগ নিশ্চিত করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস