রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা শাকিল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সেনাবাহিনীতে সৎ-নীতিবান অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক মজুত গ্যাস উত্তোলন নিয়ে সুখবর দিল বাপেক্স এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বৈরুতে একরাতে ৩০ দফা ভারি বিমান হামলা ইসরাইলের পূজামণ্ডপে ব্যাগ-পোটলা নিয়ে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেছে পুলিশ সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি ওবায়দুল কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেফতার: র‌্যাব শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু খাল-বিল ভরাটের ফলেই নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হয়েছে গাজায় মসজিদ-স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৪ আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

৯ বছরেও মেলেনি ফেলানি হত্যার বিচার : হতাশ পরিবার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ২০১১ সালের আজকের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানির নিথর দেহ। গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। ফেলানি হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে ফেলানির স্বজনরা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা ফেলানির দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকার পর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে ভারত দুই বছর পর ফেলানি হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। 

২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে শুরু হয় বিচার। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। পুনর্বিচারে ২০১৫ সালের ২ জুলাই একই আদালত ফের আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। 

২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানি হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি। 

ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘আমার চোখের সামনে মেয়েডারে গুলি করে মারলো, বিচার পাইলাম না।’ ফেলানির মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘খুনের বিচার হইলে মেয়ের আত্মাটা শান্তি পাইতো।’

ফেলানির মামলায় তার বাবা নুরুল ইসলাম নুরুকে সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানি হত্যাকাণ্ডের রিট এ বছর তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বিচারিক কাজ।’

বাংলা৭১নিউজ/সি এইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com