বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ৮ বছরে তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় পাল্টেছে ৭১ বার। তথাকথিত সেই ডিএনএন রিপোর্টের কোনো অস্তিত্ব নেই। এই হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যা মামলার সবশেষ অবস্থা। আদালতের কাছে আগামি ২৩ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন সময় নিয়েছে র্যাব। বিচার দাবিতে, ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সাংবাদিক সংগঠনগুলো। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
পুরো দেশ আলোড়িত করা সেই নৃশংস ঘটনাটির পেরিয়েছে আট বছর। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি দম্পতি।
প্রশাসনের নানা আশ্বাস, তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের ব্যর্থতা স্বীকার, শুধু সন্দেহের কারণে কয়েকজনকে আটক এমন নানা ঘটনায় দিন পেরুলেও আলোর মুখ দেখেনি হত্যা রহস্য। সে বছরের এপ্রিলে তদন্তের ভার পাওয়া র্যাব, প্রতিবেদন জমা দিতে এখন পর্যন্ত ৭১ বার সময় নিয়েছে আদালতে।
প্রতিবছরের মতো মঙ্গলবারও সাগর রুনি হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা। ডিআরইউ চত্বরের আয়োজিত সমাবেশ যোগ দিয়ে ক্ষোভ জানান, সাংবাদিক সংগঠনের নেতাসহ সাধারণ সংবাদকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে সাগর রুনি হত্যাকারিরা ধরা পড়বে বলে আশা করেন সাংবাদিকরা।
র্যাব ব্যর্থ দাবি করে অন্য কোনো সংস্থাকে তদন্ত ভার দেয়ার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সাগর রুনির সন্তান মেঘের জন্য হলেও এ হত্যার বিচার মুজিববর্ষে কার্যকর করার অনুরোধ করেন সাংবাদিকরা।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই