পানি গড়িয়ে নিচের দিকেই নামে। তাই ভারতে অতিবর্ষন কিম্বা পাহাড়ী ঢলে বন্যা হলে তা বাংলাদেশেও আঘাত হানে। ভারতে অতিবর্ষণে সৃষ্ট পানির চাপ সামাল দিতে দূর্গাপুর ব্যারেজ দিয়ে পানি ছাড়া হয়েছে। ভারতের পত্রিকা আজকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্গাপুর ব্যারেজ দিয়ে ৭২ হাজার ২২৫ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। এর প্রভাব শুধু বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলিতেই যে পড়বে এমনটি নয়। বাংলাদেশেও এর বিরূপ প্রভাব দেখা দেবে।
্আজকাল পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে এমনিতেই পানির তলায় রয়েছে বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির বহু গ্রাম। তার মধ্যেই পানি ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ। ৭২ হাজার ২২৫ কিউসেক পানি ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ।
আর এই পানি ছাড়ার ফলে বন্যার আশঙ্কায় কাঁপছে বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলার বাসিন্দারা। একাধিক গ্রাম পানির তলায় চলে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নিম্মচাপের জেরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছে বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এর পাশাপাশি পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে কয়েকদিন ধরেই।
ফলে একাধিক নদীতে বাড়ছে পানি। নদীগুলিতে পানি বাড়ায় একাধিক সড়ক পথ রয়েছে বন্ধ। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারেও পানি বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে।পানির চাপ বেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরও আর দুর্গাপুর ব্যারেজের পানিধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম তাই বাধ্য হয়ে জল ছাড়া হচ্ছে।
একদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে নদীতে পানি বাড়ছে আর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও পানি ছাড়া হয়েছে তার ফলে আসানসোলের ঘাঁঘর বুড়ি মন্দির চলে গিয়েছে পানির তলায়। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে আসানসোল,গ্রামীণ হাওড়ার একাধিক গ্রামে। বর্ধমানের একাধিক গ্রামেও ঢুকেছে পানি। আসানোসেলর বেশ কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে বাড়িঘরও ভেঙে গিয়েছে।
আসানসোলের র্যাকেট অ্যান্ড কোলম্যান এলাকায় দেওয়াল চাপা পড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়ে শিশুটির মা এখন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সামাল দেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি