গাজীপুরের মৌচাক ও কোনাবাড়ি এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে জুতা, ওষুধসহ পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে।
শ্রমিকরা সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে তারা, যা এখন পর্যন্ত চলমান। এতে ৫ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে দুপুর ১ টার দিকে মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রথমে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে, পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও কাঁদানো গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ-সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বেশকিছু গাড়ি।
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার তেলিরচালা এলাকার পূর্বানী গ্রুপের করিম টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা সর্বনিম্ন বেসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা করার দাবিতে আজ (সোমবার) সকাল ৯ টায় কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময়ে আশপাশের লগোজ অ্যাপারেলস, হাইড্রো অক্সাইড সোয়েটার কারখানা, এপিএস অ্যাপারেলস, বে ফুটওয়ার কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় দিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারীরা।
সকাল ৯ টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লিবিদুৎ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০/১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
আন্দোলনরত একাধিক শ্রমিক বলেন, আমাদের হেলপারের বেতন ৮ হাজার এবং সুপারভাইজারের বেতন ১১ হাজার টাকা ২০১৮ সাল থেকে। এরপর আর কোন বেতন বাড়ানো হয়নি। দ্রব্যমূল্যের যে দাম তাতে আমাদের জীবন চলছে না। এক কেজি মুলার দাম ৮০ টাকা, ১ কেজি সিমের দাম ১২০ টাকা। গ্যাসের দাম বেড়েছে, বাসা ভাড়া বেড়েছে। আমাদের বেতন ২৩ হাজার করতে হবে৷ এটাই আমাদের দাবি৷ এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব, পুলিশ যতোই আমাদের উপর আক্রমণ করুক- আন্দোলন চলবেই।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন চলছেই। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি