রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত গাজীপুরের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
ইতোমধ্যে তিন শতাধিক গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। দলীয় নির্দেশনা পেয়েই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি এ সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।
বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
সমাবেশে যোগ দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঢাকার শান্তি সমাবেশে আমাকে লোকজন নিয়ে যেতে বলায় আমি গাজীপুর থেকে কয়েক হাজার লোক নিয়ে ঢাকায় যাব। পাঁচ শতাধিক গাড়িসহ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ওই সমাবেশে যোগ দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন শ গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে রাত থেকেই জাহাঙ্গীর ও তার কর্মী সমর্থকরা কাজ করছেন।
জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন জানান, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনায় ৩০০টি বাস, ৭০টি মাইক্রোবাস এবং ১০০টি প্রাইভেট কারের বিশাল বহর নিয়ে শান্তি সমাবেশের যোগদান করার লক্ষ্যে ঢাকার পথে রয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। নেতা-কর্মীদের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে খাবারের প্যাকেট ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম সবশেষ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন জাহাঙ্গীরের ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান।
ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আজমত উল্লা বলেন, বুধবার তিনিও আট থেকে ১০ হাজার দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় যাবেন। প্রতি থানার জন্য ১০টি গাড়ি মোতায়েন থাকবে। স্বল্প সময়ে ৮-১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় নিতে যতগুলো গাড়ির প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন। তারপরও গাড়িতে লোকজন যেতে না পারলে নেতাকর্মীদের ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সমাবেশে যোগ দেওয়া নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আজমত বলেন, “তার সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।”
একইদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘এক দফার’ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি