২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন উদগীরণ শূন্যের কোটায় নামাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।
এই পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা বর্তমানে সারাবিশ্বের জন্য একটি অনস্বীকার্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্প বিপ্লবের পর শিল্পকারখানাগুলো বায়ুমণ্ডলে কার্বনজাত ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উদ্গিরণ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা। প্রাক্-শিল্পবিপ্লব পর্যায় থেকে ইতোমধ্যে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
সংগঠনটির অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজার আল ইমরান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোর সর্বজনীন কর্মকাঠামো ১৯৯২ সালে গৃহীত হয়। এই কর্মকাঠামোতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত রাখতে রাষ্ট্রগুলোকে কার্বন উদ্গিরণ হ্রাসের ব্যাপারে জোর তাগিদ দেয়া হয়। কিন্তু জাতিসংঘের পরিবেশ-সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি গৃহীত হওয়ার প্রায় তিন দশক অতিবাহিত হলেও সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যপারে সবার জোরালো পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পৃথিবী গড়ার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে ২০৩০ সাল, অগ্রসরমাণ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৪০ সাল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে। এছাড়া বহুজাতিক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু মানববন্ধন, সভা-সেমিনার করে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ