শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন শ্রম আইনে পরিচালনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে মায়ের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেন তারেক রহমান বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র লেবানন-ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত আরও ২১ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

১৫ অক্টোবরের কর্মসূচি জানালো পরিবেশ মন্ত্রণালয়

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানে ঢাকা শহরে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এই কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যথা- ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণি মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করবেন বলে জানান পরিবেশ সচিব।

‘মানববন্ধন থেকে গাড়িচালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করা হবে। ওই এক মিনিট হর্ন বাজানো বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’

পরিবেশ সচিব বলেন, শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, অনিদ্রা এবং মনোসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানবসম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহন চালক, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সচিব জানান, শব্দসচেতনতামূলক থিম সং, টিভিসি, রেডিও ড্রামা ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ ও প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারকাজ চলমান রয়েছে। শব্দসচেতনতামূলক বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন, লিফলেট, স্টিকার, মূদ্রণ ও বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা যুগোপযোগী করা হচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকা শহরের শব্দদূষণ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে জানিয়ে পরিবেশ সচিব বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নে সচিব বলেন, শব্দদূষণের উৎস আমরা চিহ্নিত করেছি। শব্দদূষণের প্রধান উৎস হিসেবে পরিবহনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল ও অযথা হর্ন বাজানোয় শব্দ দূষণ হয়। নির্মাণকাজ, কলকারখানা থেকেও শব্দদূষণ হচ্ছে।

পরিবহন থেকে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হওয়ায় বিআরটিএ ও বিআরটিসির সঙ্গে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কাজ করলছে বলেও জানান সচিব ফারহিনা আহমেদ।

সচিবালয়ের চারপাশ কেন শব্দহীন করা যাচ্ছে না, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা একা সক্ষম হলে হবে না। আইনটি সবাইকে সমানভাবে বুঝতে হবে এবং জানতে হবে। মোবাইল কোর্ট করলে যানজট হয়। ফলে বাস্তবতার নিরীখে আমরা এনফোর্সমেন্টে যেতে পারছি না। আমি ব্যর্থ বলবো না, প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com