দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাবিনা-সানজিদারা সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। নেপালের মাটিতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
তারপর কেটে গেছে ১০ মাস। সাবিনাদের আর মাঠে নামা হয়নি। বাফুফে অর্থ সংকটের অযুহাত দেখিয়ে মেয়েদের অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি মিয়ানমারে।
সিঙ্গাপুর ও মঙ্গোলিয়া ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েও পরে পিছুটান দেয়। সাবিনারা মাসের পর মাস শুধু অনুশীলন করে যান, কোনো খেলার আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে।
দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরছে সেই নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ও রোববার নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়।
বাংলাদেশের মেয়েদের মাথায় দক্ষিণ এশিয়ার সেরার মুকুট। ঘরের মাঠে সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পালাও সাবিনাদের। নেপালের মেয়েরা চাইবেন ঢাকা থেকে প্রতিশোধ নিয়ে যেতে। সাবিনারা কি পারবেন আরেকবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে?
গত সেপ্টেম্বরে যে ২৩ জনের দল নিয়ে সাফে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, পূর্ণশক্তির সেই দলটিকে পাচ্ছেন না মাহবুবুর রহমান লিটু। যিনি সাফে ছিলেন ছোটনের সহকারী।
ছোটন চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় এই দুই ম্যাচে ডাগআউট সামলাবেন লিটু। এই প্রথম জাতীয় নারী ফুটবল দল নতুন কোচের অধীনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে। সাফের পরপরই পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েছিলেন দুই ফরোয়ার্ড আনুচিং মগিনি ও সাজেদা খাতুন।
পরে ক্যাম্প ছেড়েছেন ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না ও ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রও নেই ২৩ জনের দলে। স্কোয়াডে থাকলেও পায়ে চোট থাকায় কৃষ্ণা রানী সরকারকে নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাচ্ছেন না লিটু। সবকিছু মিলিয়ে নেপালের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে কিছুটা নড়বড়ে দল নিয়েই নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি