বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে, যা আপাতত ১৬ মে পর্যন্ত বলবত থাকবে। তবে রোগী বহন, ত্রাণ পৌঁছানোসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে সীমিত আকারে চলছে হেলিকপ্টার।
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশের এই হেলিকপ্টার চলাচলে চারটি স্বাস্থ্যসুরক্ষা সংবলিত নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এতে চারটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তা হলো-
১. ‘হেলিকপ্টার প্রতিবার উড্ডয়নের আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী জীবাণুনাশক দিয়ে একে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।’
২. ‘হেলিকপ্টারে যেহেতু পৃথক কোনো চেম্বার নেই, সেজন্য সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই পাইলটকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
৩. ‘হেলিকপ্টারে রোগী বহনের ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে অন্তত একজন মেডিকেল ক্রু রাখতে হবে। মেডিকেল ক্রু ও ফ্লাইট ক্রুকে যতটুকু সম্ভব সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
৪. ‘ফ্লাইট ক্রুদের হ্যান্ড গ্লোভস, ফেস মাস্কসহ সব ধরনের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) পরতে হবে। মহামারীতে আক্রান্ত (কোভিড-১৯) রোগী বহনের ক্ষেত্রে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করে প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন আইকাও (আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ), আইএটিএ (ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও আমাদের নিজস্ব কিছু নির্দেশনা সংযোজন করে একটি গাইডলাইন তৈরি করে সার্কুলার প্রকাশ করেছি।
বাংলাদেশে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স, স্কয়ার এয়ার, ইউনিয়ন গ্রুপের বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার, ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড, সিকদার গ্রুপ হেলিকপ্টার সেবা দিচ্ছে।
বেবিচক জারি করা নির্দেশনায় বিমান চলাচলের চেক-ইন, ইনফ্লাইট সার্ভিস, ক্রুদের নিরাপত্তা, সার্বিক দিকনির্দেশনা, এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা, ক্রুদের কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজমেন্ট, এয়ারক্রাফট মেইটেইনেন্স, কেবিন এয়ার ফিল্টারেশন, অক্সিজেন মাস্ক সংক্রান্ত নির্দেশনা, ফ্লাইটে সন্দেহজনক রোগী পেলে করণীয় সম্পর্কেও জানানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এফএফ