রাজধানীর কোরবানির হাটগুলোতে শেষ সময়ে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও ছিল না ক্রেতা। বিক্রেতাদের কেউ কেউ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করলেও বেশিরভাগই অবিক্রিত পশু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেক আশা নিয়ে লালন-পালনের পর বিক্রি করতে না পেরে হতাশ খামারিরা। তবে কম দামে পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন সকালেও রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের মুখে হাসি, অন্যদিকে খামারিদের চোখে পানি। এদিন সকালে মানুষ যখন পাঞ্জাবি-টুপি পরে ঈদের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন, রাজধানী রাস্তার মোড়ে মোড়ে তখনও ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতা ও খামারিদের। তাদের কণ্ঠে ছিল হাতাশা ও ক্ষোভ। করোনাকাল স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে তাদের।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের লালন হোসেন সপ্তাহ খানেক আগে তার একটি মাত্র গরু বিক্রির আশায় নিয়ে এসেছিলেন গাবতলী পশুর হাটে। দেড় লাখ টাকায় কিনে বাড়িতে তিন বছর লালন-পালন করে নাম রাখেন রাজাবাবু। কিন্তু হাটে আসার পর ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে না পেরে হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় তাকে।
একই অবস্থা রাজশাহীর হারুন আলীরও। তার ফিজিয়ান জাতের গরু ‘মানিক’ এর দাম না উঠায় হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাকেও।
রাজধানীর সবগুলো হাটেই শেষ সময়ে একই চিত্র দেখা গেছে। অনেকটাই ক্রেতা শূন্য আর যারাও আসছেন দাম বলেছেন কম। এবার হাটে বেশি পশু ওঠায় এবং সে তুলনায় ক্রেতা না থাকায় বিক্রিও কম। তাই কম দামে শেষ সময়ে বিক্রি হয়েছে।
সিলেটের সম্রাট বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। কম দামে কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। কপালে হাত উঠেছে বিক্রেতার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ