বাংলা৭১নিউজ,(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠাপানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় ভেসে উঠেছে মরা ডলফিন। হালদায় একের পর এক বেড়েই চলেছে মৃত ডলফিনের সংখ্যা।
কার্পজাতীয় (রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালবাউশ) মা-মাছ ডিম ছাড়া মৌসুমে এ ধরনের জীববৈচিত্র্য মারা যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন হালদা নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞমহল।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ নদীতে যান্ত্রিক যানের (ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ড্রেজার) ডুবন্ত ঘূর্ণায়মান পাখার আঘাতে মিঠাপানির বিশ্বের অতিবিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী ডলফিন ও নদীতে থাকা নানা প্রকার জীববৈচিত্র্যেরও অকাল মৃত্যু হচ্ছে।
বিশ্বের একমাত্র জোয়ার ভাটার এ নদীতে যখন পানির স্তর কমে তখন চলাচল করা যান্ত্রিক যানের ডুবন্ত ঘূর্ণায়মান পাখার আঘাতে বিভিন্ন প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের অকাল মৃত্যু হচ্ছে।
যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি এবং আমাদের কাছে বেশ উদ্বেগের বিষয় বলে জানান হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হালদা নদীর মদুনাঘাট এলাকায় একটি মৃত শুশুকের বাচ্চা মরে ভেসে ওঠে। ওই মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা আমাকে অবহিত করে।
মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ড্রেজারের ডুবন্ত ঘূর্ণায়মান পাখার আঘাতে মরে ভেসে উঠেছে। প্রায় দেড় ফুট দৈর্ঘ্য ওই ডলফিনের বাচ্চাটির দেহের মাঝ বরাবর প্রায় দ্বিখণ্ডিত ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এইচ.বি