কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদের মাথা থেকে অস্ত্রোপচার করে একটি ক্ষুদ্র ডিভাইস বের করা হয়েছে। এমনটি দাবি করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহারিয়ার মাহমুদ তুহিন। কক্সবাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে সম্প্রতি হারুনের মাথায় সফলভাবে এই অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের সম্পূর্ণ দৃশ্য তারা রেকর্ড করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
মো. হারুনুর রশিদ কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবার ডেইল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি সিকদার পাড়ার বাসিন্দা।
অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত হারুনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহারিয়ার মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় নিজে উপস্থিত থেকে দেখলাম হারুনের মাথা থেকে একটি মাইক্রো চিপ শনাক্ত করেন চিকিৎসক। চার কোণ আকৃতির ছোট চিপটি বের করা হয়। এর নিচের কোণাগুলো একটু সূচালো। চিপটি বের করার সময় আমরা ভিডিও করেও রেখেছি।’
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট তুহিন বলেন, ‘মামলা চলমান রয়েছে। তদন্ত করছে সিআইডি।’
এর আগে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মো. হারুনুর রশিদ বলেছিলেন, ‘চিকিৎসক, প্রশাসন ও পাড়া প্রতিবেশী আমাকে সিজোফ্রিনি কিংবা মেন্টাল বললেও আমি নিশ্চিত, আমার ব্রেইন হ্যাক করেছে হ্যাকাররা। এমআরআই পরীক্ষায় আমার মাথায় নিউরো চিপ শনাক্ত হয়েছে। তাদের দাবিকৃত অর্থ না দিলে মুছে দেওয়া হবে আমার মস্তিষ্কের সব স্মৃতি।’ এই অভিযোগ তুলে অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সাবেক ইউপি মেম্বার মো. হারুনুর রশিদের দাবি, বছর তিনেক আগে শ্বশুরবাড়িতে গেলে তার শ্যালিকা আসমা উল হোসনা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিছু একটা খাওয়ালে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এরপর শ্যালিকাসহ হ্যাকার চক্র তার মাথায় ইনজেকশন পুশ করে একটি ছোট ইলেকট্রিক যন্ত্র (কম্পিউটার ডিভাইস) বা নিউরো চিপ স্থাপন করে তার বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতিনিয়ত তাকে সাইবার নির্যাতন করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ