হাইড্রোজেনচালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ি বাজারজাত শুরু করল জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টয়োটা ‘মিরাই’ নামের এ গাড়ি বাজারে আনল।
হাইড্রোজেন ও গ্যাসোলিন উভয় ধরনের জ্বালানিচালিত হাইব্রিড দামি গাড়ি নির্মাণের খবর পুরনো। এক যুগ আগে জার্মান গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউ পরীক্ষামূলকভাবে তাদের ৭৬০ এলআই মডেলের ওপর ভিত্তি করে পরিবেশবান্ধব এমন গাড়ি তৈরি করে। এরপর জেনারেল মটরস, হোন্ডা, ডেইমলার এজিও জ্বালানি কোষ প্রযুক্তি এবং হাইড্রোজেন ব্যবহারে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গাড়ি চালাতে কাজে লাগাচ্ছে।
এবার জাপানভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটাও নাম লেখাল সে তালিকায়। সম্প্রতি টয়োটা জাপানের বাজারে তাদের নতুন করে তৈরি করা হাউড্রোজেন কার বিক্রি শুরু করেছে। ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসারে মিরাই নামের গাড়ি আনল টয়োটা।
টয়োটা মিরাইয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইয়োশিকাঝু তানাকা বলেন, আমরা যদি হাইড্রোজেনকে শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে এটাকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যাবে। যেমন হাইড্রোজেন জ্বালানি কোষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন। আমি মনে করি সামজে এর মাধ্যমে হাইড্রোজেননির্ভর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির শুভসূচনা হতে পারে।
বাজারে এলেও জ্বালানি কোষযুক্ত এসব গাড়ির প্রতি চালকরা তেমন একটা আগ্রহী নয়। কেননা জাপানি সরকারের সহায়তা সত্ত্বেও প্রযুক্তি সহজলভ্য হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ফুয়েলিং স্টেশন, ব্যবহার করা গাড়ির বিক্রয়মূল্য এবং হাইড্রোজেন বিস্ফোরণের ঝুঁকির মতো বিষয়ে উদ্বেগ আছে চালকদের। যদিও টয়োটা তাদের আশ্বস্ত করতে জানিয়েছে, এ গাড়ি একবার জ্বালানি নিয়ে টানা ৮০০ কিলোমিটার চলবে, থাকছে সহজ পার্কিং সুবিধা, আর হাইড্রোজেন জ্বালানি ইউনিট রাখা হয়েছে সামনে দিকে নিচে সুরক্ষিত ব্যবস্থায়।
এদিকে জার্মানিতে ডয়চে বান ও সিমেন্স মবিলিটি নামের প্রতিষ্ঠান দুটি হাইড্রোজেনচালিত ট্রেন নির্মাণ করছে। এ ধরনের ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা বছরে ৩৩০ টন কার্বন নিঃসরণের দূষণরোধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি