সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মাদকের ডিজি শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়, সবুজায়ন বাড়াতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেরপুরে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি কর্মচারী হত্যায় হাজী সেলিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো করাচি বিমানবন্দরের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ২ চীনা নাগরিক পূজায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই: আইজিপি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, পিটিআইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা এস আলম পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হত্যা মামলায় ওসি গ্রেপ্তার সিন্দুকের ভেতর শাশুড়ির মরদেহ, পুত্রবধূ আটক বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ২০ বছরের ছোট সারার সঙ্গে রণবীরের রোমান্স, হতাশ নেটিজেনরা রনি হত্যা : ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নুর ইসলাম গ্রেপ্তার রূপালী সঞ্চয়-ঋণদান সমবায় সমিতির এমডি-ম্যানেজার গ্রেপ্তার মুক্তাকিম বিল্লাহ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

স্বামী হারা জাবেদা ভিক্ষার ১৩ হাজার টাকা দিলেন মসজিদে

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

বিধবা মেয়ে ও এক নাতনীকে নিয়ে কষ্টের সংসার বৃদ্ধা জবেদা বেগমের। ভিক্ষা করে পেট চলে তার। ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের চোখে সম্মানহীন হলেও জবেদার বেলায় সেটি ভিন্ন হয়ে উঠেছে। এই বৃদ্ধা সমাজের চোখে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে পাড়ার মসজিদে তিনি অনুদান দিয়েছেন ১৩ হাজার টাকা। এরপর থেকেই গ্রামে আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন তিনি। জবেদা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত চিনেতুল্লা বিশ্বাসের স্ত্রী। ২৫ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তার স্বামী। বেঁচে থাকতে তিনিও ভিক্ষা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে পড়েন জবেদা। 

বৃদ্ধার পাঁচ মেয়ে। সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কপালের ফেরে তার চতুর্থ নম্বর মেয়ে শাহানারা খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা হন। নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আফরোজা খাতুনকে নিয়ে আছেন বাপের ভিটায়। মায়ের সংসারে থেকে জুটমিলে কাজ করেন শাহানারা।
বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন জবেদা বেগম (৮০)। এখন আর পাড়া ঘুরতে পারেন না। সপ্তাহে আশপাশের হাটগুলোতে ভিক্ষা করেন। যা পান তা থেকে কোনও রকম পেট চালিয়ে বাকিটা জমিয়ে রাখেন।

জমানো টাকা দান করেন মসজিদ ও ওয়াজ মাহফিল বা উরশে।জবেদা বেগম বলেন, পাড়ার বাগডাঙ্গা মসজিদে ১০ হাজার, বাগডাঙ্গা বাজার মসজিদে এক হাজার, দহকুলা মসজিদে এক হাজার, মাছনা মাদরাসায় এক হাজার ও পাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভায় ৫০০ টাকা দিয়েছি। কোনও কিছু পাওয়ার আশায় নয়। মন চাইছে তাই দান করেছি। আমারে আল্লাহ দেবে।জবেদা বেগমের দানের বিষয়টি অনেক দিন গোপন ছিল। সম্প্রতি ‘প্রিয় বাগডাঙ্গা’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃদ্ধার ছবিসহ তার দানের বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। তখন জানাজানি হলে আলোচনায় আসেন তিনি।স্বামীর রেখে যাওয়া পাঁচ শতক ভিটায় মাটির ঘরে বসবাস জবেদার।

বিধবা ভাতা ছাড়া সরকারি কোনও সুবিধা পান না। জবেদার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শাহানারার নামে দশ টাকার একটি চালের কার্ড ছিল। একবার চাল তোলার পর স্থানীয় মহিলা মেম্বার লতিফা বেগম নামটি কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় আব্দুর জব্বার জানান, মসজিদ পাকা করার জন্য আমরা গ্রাম ভিত্তিক টাকা তুলতে ছিলাম। তখন জাবেদা নিজে এসে বাগডাঙ্গা মসজিদে ১০ হাজার ও দহকুলা মসজিদে এক হাজার টাকা দিয়ে যান। তা দেখে আমরা উৎসাহিত হই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, জবেদা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। আমরা চাই তিনি যেন সরকারি ঘর পান। তার যেনও শেষ বয়সে আর ভিক্ষা করতে না হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com