বগুড়ার ধুনটে অশালীন ভাষায় গালি দেওয়ায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন স্বামী সজিব হোসেন (২৫)। এ নিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন সজিব।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।
পুলিশ জানায়, উপজেলার জোড়খালি গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে পিয়ারা খাতুন প্রিয়ার প্রায় পাঁচবছর আগে একই এলাকার শিমুলবাড়ি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সজিব হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। পেশায় কাঠমিস্ত্রি সজিব দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছিলেন।
গত ২২ জানুয়ারি সকালে মাদকদ্রব্য কেনার জন্য গ্যাসের চুলা বিক্রি করতে চান সজিব। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখন পিয়ারা স্বামী সজিবকে অশালীন ভাষায় গালি দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পিয়ারাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন সজিব।
এ ঘটনায় নিহত পিয়ারার বাবা হোসেন আলী বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সজিব হোসেন ও তার মা সাজেদা বেগমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শেরপুর শহরের দাড়কিপাড়া এলাকা থেকে সজিব ও তার মাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি মা ও ছেলেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মা ও ছেলেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সজিব আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।