শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ বের করতে হবে: তারেক রহমান স্পেন্ড অ্যান্ড উইন : বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে মুইজ্জুর আসন্ন ভারত সফর কী বার্তা দিচ্ছে? হবিগঞ্জে থানা চত্বর থেকে পরিত্যক্ত শটগান উদ্ধার গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা মাঝ রাস্তায় যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধের নির্দেশ সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৩৩০৫১ টাকা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ সেনা নিহত বাংলাদেশের ইলিশ পাঠানোর ঘোষণায় পশ্চিমবঙ্গে খুশির জোয়ার সাজেকে আটকা পড়েছে ৮ শতাধিক পর্যটক সিলেটে বজ্রপাতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু ইতিহাসে প্রথমবার ২৬০০ ডলার ছাড়ালো সোনার আউন্স আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ মুখোমুখি, যা বললেন জাতিসংঘ প্রধান কাশিমপুর থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া: ফখরুল ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের মধ্যে নতুন যুদ্ধাস্ত্র সামনে আনলো ইরান সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে বৃদ্ধের মৃত্যু কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না: নজরুল ইসলাম খান

স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান, শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ১১ মাসের শিশুপুত্র আয়মান হোসেনকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা ইমামুল হোসেন (২৮)। 

রোববার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত ইমামুল জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ছিলেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (২৩) তার বাবার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী মমতাজ জোর করেই ১১ মাসের শিশুসন্তান আয়মানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়াদিয়া গ্রামে চলে যান।

শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। সে কান্না থামাতে না পেরে বাচ্চাটিকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোনো এক সময়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকাল বউমা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দুজনে বউয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়।

দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশুসন্তান আয়মান কেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুসন্তানকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। অন্য কোনো কারণ আছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com