বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : স্ত্রী ও পরিবারের জন্য নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি। খবর বিবিসির।
আট বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার পর হঠাৎ তার এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।
নিজের সিদ্ধান্তে জন কি নিজেও কম বিস্মিত নন। তার বক্তব্যেই এই বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে।
পূর্বনির্ধারিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জন কি নিজের ইস্তফার ঘোষণা দেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জন কি বলেন, ইস্তফা দেয়ার সিদ্ধান্তটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। আর আমি জানি না পদ থেকে সরে যাবার পর আমি কী করব।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্ত্রীর অনুরোধেই প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় নেতা।
দেশটির ন্যাশনাল পার্টি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী নেতৃত্ব খুঁজে বের না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন উপপ্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ।
২০১৪ সালে ন্যাশনাল পার্টির হয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনীত হন জন কি। ২০১৭ সালের পরবর্তী নির্বাচনেও তাকেই মনোনয়নের গুঞ্জন যখন ডালপালা গজাচ্ছিল, তখনই তিনি ঘোষণা দেন পরবর্তী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার। আর এবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেই সরে দাঁড়ালেন।
সংবাদ সম্মেলনে জন কি আরও বলেন, সঠিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন ও কাজে সফল হওয়ার পেছনে আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক ত্যাগ রয়েছে। আমি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকায় স্ত্রী ও সন্তানেরা তাদের প্রাপ্যটুকু পায়নি।
তিনি বলেন, তবে এখন আমি বুঝতে পারছি, দেশকে দেয়ার মতো আমার কাছে বিশেষ কিছু আর অবশিষ্ট নেই।
জন কি মেরিল লিঞ্চে একজন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া দেশটির রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির হয়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজকালে নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য জন কি সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস