বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের বড় ক্ষেত্র হচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি। এ প্রসঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন খাতে অন্তত ২৩ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের কর্মীদের নিয়োগ থেমে থাকেনি।
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভিসা দেওয়ার হার বাড়ার প্রসঙ্গ টেনে ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ১৪ লাখের বেশি কর্মীর জন্য সৌদি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর এক দিনে সাড়ে ৮ হাজার ভিসা দেওয়া হয়েছিল। আর চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক দিনে দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৩০০ ভিসা, যা একটি নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশ সৌদি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার প্রসঙ্গে টেনে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে আলোচনা হলেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিনিয়োগ হয়নি। নিকট ভবিষ্যতে ২৩টি বড় কোম্পানি একসঙ্গে বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যালস, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর ও পোতাশ্রয় নির্মাণ, সামরিক ও বেসামরিক উড়োজাহাজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি পরিবহনমন্ত্রী সালাহ আল জাসেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। ওই সময় একটি সৌদি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রকৌশল খাতে ১৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একুয়া পাওয়ার বাংলাদেশে সাড়ে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৭০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া সৌদি আরবের বন্দর ব্যবস্থাপনায় যুক্ত রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল বাংলাদেশে ১২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বাংলা৭১নিউজ/এবি