বাংলা৭১নিউজ,মাহবুব রহমান,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারোমাসিয়ার নদীর উপর নির্মিত আনন্দবাজার সংলগ্ন সেতুর সংযোগ সড়ক গত বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সেতুটি থেকেও দশ গ্রামের প্রায় তিন হাজার লোকের কাজে আসছে না।
সম্প্রতি এলাকাবাসী নবির উদ্দিন (৫০),আসাদুল ইসলাম (৩০),আছমত আলী (৪৫), শাহার উদ্দিন (৬০), পরিমল চন্দ্র রায়(৪০) জানান, র্দীঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল এই সেতুটি। এই সেতু দিয়ে চরাঞ্চলের লোকজন সহজেই বালারহাট বাজার হয়ে ফুলবাড়ী সদরের পৌঁছেতেন।
চরাঞ্চলের লোকেরা জানান, চরাঞ্চলের লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সেতুটি দিয়ে চলাচল করে আসছিল। এতে করে ১০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যেত। ওই এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হত। কিন্তু বন্যায় সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় সেতুটি উপকারে আসছে না। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস হলেও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট ঠিক করছে না সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পি.আই.ও.) অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার আনন্দবাজার, চর-গোরকমন্ডল, কলির চর, খোয়েরের বাড়ীর চর, চর-খারুয়া, কান্দাপাড়া, ঝাউকুটি, ঝামাকুটি, চর পেঁচাই, বাঘের চর এলাকার লোকদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালর্ভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনন্দবাজার সংলগ্ন বারোমাসিয়া নদীর উপর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী জানান, আনন্দবাজারের এই সেতুটি অনেক চেষ্টায় করা হয়েছে। ইউনিয়নে এখনো প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক ভাঙ্গা। বন্যার পর পরেই প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খুব শ্রীঘেই ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি.আই.ও.) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, এবারের বন্যায় সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গেছে। বিষয়টি তালিকা করে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সামনে কাবিখা ও কাবিটা বরাদ্দ আসলে পূণঃসংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস