চার বছর পর হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরির। সাকিব আল হাসানের ইনিংসটা বলতে গেলে ছিল একদম নিখুঁত। কিন্তু ৩৩ ওভারের পর পানিপানের বিরতি যেন অভিশাপ হয়ে এলো। বিরতির পর মনোসংযোগে চিড় ধরলো। প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব।
শার্দুল ঠাকুরের ক্রসসিম ডেলিভারি ব্যাটে লেগে ভেঙে দিলো স্টাম্প। সাকিবের লড়াকু ইনিংসের সমাপ্তি হলো একরাশ হতাশা নিয়ে। ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১১৫ বলে ১০১ রানের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬১ রান। হৃদয় ৪০ আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন পিছুই ছাড়ছে না বাংলাদেশের। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে শুরু হলো টাইগারদের। ২৮ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসেছে ৩ উইকেট।
আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ২ বলে ০ করে মোহাম্মদ শামির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন লিটন।
পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়েছেন দারুণ শুরু করা তানজিদ হাসান তামিমও। তার ব্যাটে বল লেগে ভেঙে গেছে স্টাম্প। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন তরুণ এই ওপেনার।
এনামুল হক বিজয় দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এমনই দৃষ্টিকটু শট খেলে ফিরলেন, আবারও তার জন্য দলে জায়গা পাওয়া কঠিনই হবে।
ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুরকে চার্জ করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন বিজয়, ক্যাচটি সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক। ১১ বলে ৪ রানে থামে বিজয়ের প্রত্যাবর্তন ইনিংস।
একের পর এক উইকেট পড়ছে। ধস থামাতে প্রমোশন দিয়ে পাঁচ নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ দুইবার জীবন পান। তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস