কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সুদের টাকা দিতে না পারায় বসতভিটা দখলের চেষ্টায় বাধা দিলে সিরাজুল ইসলাম (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কারিগর পাড়া থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সুদের টাকা না পেয়ে পশ্চিম কয়া গ্রামের বিপুল হোসেন ও পিকলু হোসেন সিরাজুলের বসতভিটা দখল করে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে লাবনী খাতুন বলেন, বাবা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে বিপুল ও পিকলুর কাছ থেকে সুদে দুই বছরের জন্য এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা নেন। কিন্তু ৬ মাস না যেতেই সুদ ব্যবসায়ীরা টাকা পরিশোধে চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত শনিবার বিপুল ও পিকলু লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ছোট ঘরটি ভেঙে দেয়। আর রোববার সকালে নতুন ঘর নির্মাণ শুরু করে। সে সময় বাবা বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিপুল হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক অভিযুক্ত পিকলু হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সুদের ব্যবসা করি না। জমি কিনে ঘর করছি। আর আমরা কাউকে হত্যা করিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে