ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। আমরা যদি মানবতার মুক্তি, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই তাহলে রাসুলের (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই।
রোববার রাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষ কালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আল্লাহর রাসূলের প্রত্যেকটি কাজ অত্যন্ত যৌক্তিক।আমরা যদি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলি তাহলে আমাদের পার্থিব ও পরকালীন জীবন সফলতায় ভরে উঠবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রিয় নবী তার যাপিত জীবনে মানুষের অধিকার দিয়েছেন। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের অধিকার ঘোষণা করেন। হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার আলাদা কোনো মর্যাদা নেই। যে মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতি আছে সেই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে দামি।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নিয়েও মহানবী (সা.) আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনটি জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে নবী করিম (সা.) নিষেধ করেছেন। প্রবাহমন নদীর কিনারে, রাস্তায় ও গাছের ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করলে পরিবেশ দূষিত হয়। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্যে রক্ষায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) গাছ রোপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে গেছেন।
উপদেষ্টা আগামী দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী আরও উন্নতভাবে প্রকাশ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, পটুয়াখালী ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন এবং বিশ্বজয়ী হাফেজদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস