সিলেটে ১৬ মাস বয়সী কন্যাশিশুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ মা নাজমিন জাহানকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পলানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নাজমিন জাহান সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালিকৃষ্টপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, নাজমিন পারিবারিক কলহের কারণে বালিশচাপা ও গলাটিপে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, শিশুটির বাবা কাতার প্রবাসী। তার বাড়ি দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায়। তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রী (নাজমিন) শাহপরাণ এলাকার নিপবন-৪৯ এ আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার সঙ্গে ছোট বোন ও আগের স্বামীর ঘরের এক ছেলে সন্তানও থাকতো।
স্বামী সাবিবরের সঙ্গে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ১৬ মাস বয়েসী শিশু সাবিহার মুখে বালিশ দিয়ে চাপা দেন। পরে গলাটিপে ধরেন। এসময় নাজমিনের বোন বিষয়টি দেখতে পেয়ে শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন নাজমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি কোতোয়ালি থানায় রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ