বাংলা৭১নিউজ, সিলেট অফিস : সিলেটের জৈন্তাপুরে সরকারি ৪ কোটি টাকার মূল্যের ভূমি অবৈধভাবে কেনাবেচার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাবেক ইউএনও খালেদুর রহমানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির আহমদ।
মামলার আসামীরা হলো জৈন্তাপুর উপজেলার চুনাহাটি নিজপাট গ্রামের মৃত আবদুল মালিক চৌধুরীর ছেলে আখলাকুল আম্বিয়া, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ওরফে টেনাইর ছেলে মো. মুসলিম আলী, লিয়াকত আলী (সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ), উমনপুরের মুছিম আলীর ছেলে আপ্তাব আলী, বাউরবাগ (কেন্দ্রি) গ্রামের মো. কলিম উল্লাহর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, জৈন্তাপুর সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক বীরখাই গ্রামের আজির উদ্দিন, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের সত্যেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ণানগরের মো. নজির উদ্দিনের ছেলে মোশাহিদ আলী, জৈন্তাপুর সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক মো. মীর জাহান, জৈন্তাপুরের সাবেক সাব রেজিস্টার বোরহান উদ্দিন সরকার, সাবেক ইউএনও খালেদুর রহমান, সাবেক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুর রহিম, সাবেক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যান্দন দেব, জৈন্তাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মৌজার জেএল ১৮, দাগ নং২৪২ এ দোকান রকম শ্রেণীর ৮ ভূমির ১ নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। মামলার আসামী আখলাকুল আম্বিয়া, মুসলিম আলী ও লিয়াকত আলী যোগসাজসে সরকারি কর্মকর্তা, সর্মচারিদের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে এ ভূমির জাল দলিল করে অবৈধভাবে কেনাবেচা ও ভোগদখল করে আসছেন। লিয়াকত আলী সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিরাও তার স্বার্থরক্ষা করে চলছেন।
মামলার বাদী মো. মনির আহমদ বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে ভাইয়ের নামে অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব এটর্নি সৃষ্টি করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের যোগসাজসে সরকারি ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছি। মামলাটি দুদককে তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস