বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে আসাদ সরকারের। এ অবস্থায় তাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক পরিসরে যখন আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে, তখন আমি ইউটিউবে জুলাই-আগস্ট মাসের খবরগুলো দেখি। এসব দেখার পর জলপাই রঙের উর্দি পরা দেশপ্রেমিক অফিসার ও সৈনিকদের জন্য এক গভীর অনুতাপ অনুভব করি। জেনারেলদের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের নেওয়া এই বোল্ড ডিসিশনের কী নিদারুণ অপচয়!
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, আওয়ামী লীগের পরিণতি সিরিয়ার আসাদের চাচাতো ভাইয়ের মতো না করার এই আক্ষেপ বোধ হয় আমাদের সারাজীবন পুড়িয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল-আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
কিন্তু সম্প্রতি লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিদ্রোহীরা আবারও তৎপর হয়ে ওঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ