বাংলা৭১নিউজ, সিরাজগঞ্জ : কক্ষের ভিতরে প্রকাশ্যেই নৌকার এজেন্ট ব্যালট নিয়ে ভোট দিচ্ছে। আর কেন্দ্রের ৫টি বুথের কোথাও ধানের শীষের এজেন্টদের দেখা মেলেনি। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পঞ্চসারটিয়া কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টায় সরজমিন গিয়ে এ দূশ্য চোখে পড়ে।
কেন্দ্রের ১ নং (পুরুষ) বুথের নৌকার এজেন্ট ফরিদ উদ্দিন প্রকাশ্যে ভোট সিল মারার বিষয়ে বলেন, ভোটার সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারছে না, তাই সিলটি মেরে দিয়েছি। এ বিষয়ে বুথে কর্তব্যরত পোলিং অফিসার শেখর চন্দ্র ঘোষ বলেন, আপনিতো এই দেশেই থাকেন, সবই বোঝেন। কিভাবে সব হচ্ছে। আমাদের কি করার আছে।
২ নং (পুরুষ) বুথে কর্তব্যরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বেলাল হোসেন, সকালে ধানের শীষের এজেন্ট এসেছিল। এখনতো তাকে দেখছি না। ৩ নং (মহিলা) বুথ গিয়ে দেখা যায় সেখানে ধানের শীষের এজেন্ট নেই। কিন্তু শারমিন সুলতানা, রেবা খাতুন ও শ্যামলী খাতুন নামে নৌকার পক্ষে ৩জন এজেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে বুথে কর্তব্যরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রোকেয়া খাতুন বলেন, ধানের শীষের এজেন্ট সকাল থেকেই নেই। নৌকার ৩জন এজেন্টের বিষয়ে বলেন, এখানে শ্যামলী খাতুন মূলত নৌকার এজেন্ট। অন্যরা কিভাবে এলো বিষয়টি দেখছি। ৪ নং বুথে ধানের শীষের এজেন্ট নেই। ঘোড়া প্রতিকের কার্ড লাগিয়ে কর্তব্যরত মিনারা খাতুন বলেন, আমি নৌকার এজেন্ট। পাশেই বসে আছেন নৌকার এজেন্ট হাসি খাতুন।
বুথে কর্তব্যরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রমজান আলী বলেন, ধানের শীষের এজেন্ট সকাল থেকেই আসেনি। ২জন এজেন্টের বিষয়টি দেখছি। ৫ নং বুথে নৌকা ও ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই। পরিচয় জানতে চাইলে ঘোড়া প্রতিকের এজেন্ট মাহমুদা খাতুন বলেন, আমি নৌকার এজেন্ট। আপনার পরিচয় পত্রে তো ঘোড়া প্রতকি এটা কিভাবে সম্ভব। এগুলো জানি না নবীদুল ভাই (নৌকার প্রার্থী) কার্ড করে দিয়েছি। দায়িত্ব পালন করছি।
বুথে কর্তব্যরত সকাল থেকেই নৌকা ও ধানের শীষের এজেন্ট দেখছি না। কে প্রকৃত এজেন্ট প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তালিকা আছে। প্রিজাইডিং অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে ভোটার সংখ্যা ১৬০৮। নারী ধানের শীষের এজেন্ট কেন্দ্রে না এলে আমরা কি করবো। নৌকার অতিরিক্ত এজেন্টের বিষয়টি দেখছি।
এ সকল অসঙ্গতির বিষয়ে কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েজিত সহকারী উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাবিব বলেন, আমি একা মানুষ, সব কিছু কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবো। এ বিষয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নবীদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় বিএনপির কোন লোকই নাই, যে কারনে এজেন্ট নাই। যদি কেন্দ্রে অতিরিক্ত নৌকার এজেন্ট থেকে থাকে, সেটার ব্যর্থতা কেন্দ্রের কর্তব্যরতদের।
বাংলা৭১নিউজ/কেএস