অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে কভিড আতঙ্ক। সম্প্রতি সিডনি বন্দরে নোঙর ফেলা একটি বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজের ৮০০ যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শহরে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে মানুষকে কভিড বিধি মানতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
ক্রুজের আক্রান্ত যাত্রীদের থেকে যাতে নতুন সংক্রমণ না ছড়ায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত বিলাসবহুল প্রমোদ তরীতেই নিভৃতবাসের ব্যবস্থা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলস। সেখানাকার রাজধানী শহর এল সিডনি। সম্প্রতি সিডনি বন্দরে পৌঁছায় ম্যাজেস্টিক প্রিন্সেস নামের ক্রুজটি। প্রমোদ তরী কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রুজে যাবতীয় কভিড বিধি মানা হলেও ৮০০ জন যাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করে। এর পরই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৃতীয় স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় আবার কভিড সংক্রমণ বাড়ছে, সম্প্রতি একথা জানিয়েছিল অজি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের বেশ কিছু প্রান্তে নতুন করে কভিড বিধি লঙ্ঘণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই ম্যাজেস্টিক প্রিন্সেস ক্রুজের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় অনেকের রুবি প্রিন্সেস ক্রুজের ভয়াবহ কভিড সংক্রমণের কথা মনে পড়ছে। ২০২০ সালে রুবি প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজের ৯১৪ জন যাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রুবি প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজটির সংক্রমণ থেকে দেশ শিক্ষা নিয়েছে। সিডনির প্রমোদ তরীর আক্রান্তদের নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্রুজ থেকে আক্রান্তদের কিভাবে নামানো হবে, তাদের কোথায় আইসোলেশনে রাখা হবে, এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদিও প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজটিতে কিভাবে সংক্রমণ ছড়াল তার কোনো উত্তর নেই প্রমোদ তরী কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের বক্তব্য, যাবতীয় কভিড বিধি মানার পরও এত লোক কিভাবে আক্রান্ত হলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, যাত্রীদের থেকে সংক্রমণ যাতে শহরে ছড়িয়ে না পড়ে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে ক্রুজের কর্মীরাও। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ