করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া সকল পর্যটক এবং ১২ বছর ও তার চেয়ে কম বয়সীরা সিঙ্গাপুরে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে ৩১ মার্চ রাত ১১:৫৯ মিনিট থেকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে করোনা পরীক্ষা করে নিলেই চলবে।
সিঙ্গাপুরের সীমান্ত পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের পদক্ষেপ। ভ্রমণার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টিনমুক্ত প্রবেশের জন্য শুধু নির্ধারিত ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
এছাড়া সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কভিড-১৯ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতেও হবে না।
স্ট্রেইট টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দৈনিক পর্যটকদের সিঙ্গাপুরে আগমনের সংখ্যার ওপর আর কোনো কোটা থাকবে না। টিকাপ্রাপ্ত ভ্রমণকারীদের জন্য সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে না।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার আগে সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের যে অভিজ্ঞতা অন্যদের রয়েছে, এবারের পদক্ষেপ খানিকটা সেরকমই সহজ হতে চলেছে।
‘ভ্যাক্সিনেটেড ট্রাভেল ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে নতুন ভ্রমণ বিষয়ক পদ্ধতিটি বিদ্যমান ‘ভ্যাক্সিনেটেড ট্রাভেল লেন’ (ভিটিএল) পদ্ধতিকে প্রতিস্থাপন করবে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার যে নিয়ম রয়েছে, তা বর্তমানে বহালই থাকবে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামনের সপ্তাহগুলোতে এটি বাদ দেওয়া হবে।
করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ না দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি পাসপোর্টধারী এবং স্বল্প সময়ের পর্যটকদের মধ্যে যাদের বয়স ১৩ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি, তাদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
দীর্ঘমেয়াদি পাসপোর্টধারীদের মধ্যে শারীরিক কারণে টিকা নিতে না পারা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছর; তাদের ছাড় দেওয়া হবে।
তবে সে ক্ষেত্রে ওইসব ব্যক্তিদের সিঙ্গাপুরে আসার দুই দিন আগে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং সাতদিন বাড়িতে কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ