বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সুপারভাইজারী কমিটির ৮৩তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ ২ হাজার কোটি টাকার ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন একরামুল-গোলন্দাজসহ দুদকের জালে সাবেক ১০ এমপি শুল্ক গোয়েন্দার ডিজিসহ ৩১ কর্মকর্তা পদে রদবদল দুই শতাধিক কৃষককে ঋণ দিলো এবি ব্যাংক ‘কারাগার থেকে পালানো ৫০০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি’ বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারে সহযোগিতা করবে ইতালি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ টাকা চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০ তেলের দাম এক লাফে বাড়ল ৪ শতাংশ ঘনঘন বিদেশ সফর: পাউবো’র শ্যামল কী ‘র’ এর এজেন্ট! মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী: হিজবুল্লাহ নজরুল ইসলাম মজুমদার সাত দিনের রিমান্ডে পোশাককর্মী রুবেল হত্যা: সালাম মুর্শেদী দুইদিনের রিমান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ বছর বা তারও কম চান ৫৩ শতাংশ ভোটার হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি বি. চৌধুরী বাংলাদেশে কারখানা তৈরি করে মাছ রপ্তানি করতে চায় চীন

সিগারেটের সূত্র ধরে হত্যা মামলার রহস্য যেভাবে উদঘাটন করল পিবিআই

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা জেলার আশুলিয়ায় বিমল চন্দ্র মণ্ডলের হত্যাকারী মো. হাফেজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুটি সিগারেটের সূত্র ধরে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই ঢাকা জেলা।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে হাফেজকে আগুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই জানায়, অনেক দিন ধরে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করছিলেন মো. হাফেজ। টাকার জন্য দুটি রিকশা চুরি করেও  বিক্রি করেছে সে। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল বিমল চন্দ্র মণ্ডল নামের একজনের বাসায় চুরি করতে গিয়ে তাকে হত্যা করেন হাফেজ। আর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয় দুটি সিগারেটেরের সূত্র ধরে।

রোববার (২৫ জুন) পিবিআই হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, নিহত বিমল চন্দ্র মণ্ডল সপরিবারে আশুলিয়ার জামগড়া মনির মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ভিকটিম বিমল বাসায় থাকে এবং জীবিকার তাগিদে তার স্ত্রী এবং মেয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। গত ১৬ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো বিমলের স্ত্রী এবং মেয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চলে যায়।

ওইদিন নিহত বিমল একাই বাসায় অবস্থান করছিলেন। পরে ডিউটি শেষে অফিস ছুটি হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় বিমলের মেয়ে পূর্ণিমা রানি মণ্ডল বাসায় গিয়ে তার বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুখের ভেতরে কাপড় কাটার কাচি (সিজার) ঢুকানো অবস্থায় দেখতে পায়।

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারুল অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানার মামলা করেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ ১৭ এপ্রিল থেকে ৪ জুন পর্যন্ত মামলাটি তদন্ত করে। গত ৪ জুন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলাকে মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনার ৬ মাস আগে বিমল স্ট্রোক করেন। তখন থেকে তিনি ধূমপান ছেড়ে দেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ঘটনার দিন নিহত বিমলের বাসায় সিগারেটের দুটি শেষাংশ পাওয়া যায়। আর এ সিগারেটের শেষাংশের সূত্র ধরেই তদন্ত অগ্রসর হতে থাকে এবং বেশ কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়।

তার মধ্যে মো. হাফেজকে সন্দেহের তালিকায় ১ নম্বরে রেখে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে পিবিআই তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ জুন বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. হাফেজকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফেজ জানায়, নিহত বিমল ও হাফেজের স্ত্রী একই গার্মেন্টসে চাকরি করেন। একই গার্মেন্টেসে চাকরি করার সুবাদে এবং একই এলাকায় পাশাপাশি বসবাস করায় হাফেজ মাঝে মধ্যেই নিহতের বাসায় যাতায়াত করতেন।  ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭টায় হাফেজ নিহতের বাসায় যান। ওই বাসার লোকজন সবাই গার্মেন্টসে চলে যাওয়ায় বাসা ফাঁকা ছিল। হাফেজ ও বিমল চন্দ্র একসঙ্গে টিভি দেখে এবং খাওয়া-দাওয়া করে। পরে বিমলকে দিয়ে সিগারেট নিয়ে আসার জন্য বাসার নিচে দোকানে পাঠান হাফেজ।

পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা আরও বলেন, ওই সময়ে হাফেজ নিহত বিমলের স্ত্রীর অলংকার বা গহনা ও টাকা পয়সা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সিগারেট নিয়ে বাসায় চলে এসে দেখেন গ্রেপ্তার হাফেজ ঘর অগোছালো করে কী যেন খোঁজাখুজি করছে। চুরির বিষয়টি বিমল দেখে ফেলায় হাফেজ টেবিলে থাকা কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে প্রথমে বিমলের গলায় ডান পাশে পোঁচ দেয়।

পরে বিমলের মুখে ঢুকিয়ে হত্যা করে বাসা থেকে একজোড়া স্বর্ণের বাঁধানো শাখা, দুই জোড়া কানের দুল এবং দুই জোড়া চুড়িসহ আলমারিতে থাকা ৯ হাজার ৫২০ টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পরের দিন হাফেজকে আদালতে পাঠানো হলে সে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, হাফেজ বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করছিল। এর আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করার জন্য দুটি অটোরিকশা চুরি করে বিক্রি করে। সর্বশেষ বিমলের বাসায় চুরি করতে গিয়ে বিমলকে হত্যা করে।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, হাফেজের চুরি করা স্বর্ণালংকার বিক্রিতে যারা সাহায্য করেছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com