বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ব্যানারে ‘সাইফুর’স কোচিং সেন্টার’ এর লোগো থাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
একই বিষয়ে আপত্তি তুলে একইসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসির কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন আইনমন্ত্রী।
নির্ধারিত সময় বেলা ১১টার পরপরই আইনমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় অনুষ্ঠানের ব্যানারে সহযোগিতায় ‘সাইফুর’স প্রাইভেট লিমিটেড’ লেখা দেখে আপত্তি তোলেন আইনমন্ত্রী।
এই প্রতিষ্ঠানটি ‘বিতর্কিত’, তাই এই অনুষ্ঠানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলে অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান তিনি। এ সময় ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া মেলেনি। একই কথা বলে মন্ত্রীর সঙ্গে সেখান থেকে চলে যান অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক।
অতিথিরা যাওয়ার পর সাইফুর’স প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামস আর খান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান খানকে নিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন ডিআরইউ নেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ডামাডোলের মধ্যে দক্ষ ‘হ্যাকার তৈরির বিজ্ঞাপন’ দিয়ে গত মার্চে আলোচনায় আসে সাইফুর’স কোচিং সেন্টার।
তারা ‘চোর বানানোর বিজ্ঞাপন’ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কোচিং সেন্টারটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এর পরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রমনা থানায় এই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে জিডি করে এবং বিষয়টি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দেয়।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাট এবং একটি শব্দের বানান ভুলে ২ কোটি ডলার রক্ষা পাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশের পর একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয় সাইফুরস।
ওই বিজ্ঞাপনের শিরোনামে বলা হয়, “English-এর ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া!”
অনুষ্ঠানস্থল থেকে মন্ত্রীর চলে যাওয়ার বিষয়ে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনুষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।”
অনুষ্ঠানে পিইসি ও জেএসসিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনকারী ৪০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি দেওয়া হয়। তারা সবাই ডিআরইউ সদস্যদের সন্তান।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/ ছবি ও প্রতিবেদন: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সৌজন্যে