বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কমুক্ত রাখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে যদি বিতর্ক করি তাহলে সভ্যতা থাকবে না, আইন থাকবে না, এ দেশে তাহলে গণতন্ত্র থাকবে কি ভাবে।’
সৈয়দ আশরাফ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই গণসংবর্ধনা সফল করতে এ যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাথে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট জেলার দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরের অন্তগর্ত দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের সাথে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা যদি সকল প্রতিষ্ঠানকেই বিতর্কিত করি তাহলে গণতন্ত্র থাকবে না, আইন থাকবে না। আমরা যদি হাইকোর্টকে বিতর্কিত করি, সুপ্রিম কোর্টকে বিতর্কিত করি, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করি, তাহলে আমরা যাব কোথায়? আমরা যদি সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করি তাহলে সভ্যতা থাকবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করেন। অতএব তিনি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন সেটাই হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এই ইনস্টিটিউশনকে বিতর্কিত করলে আমাদের মাথা ঠেকানোর জায়গা থাকবে কোথায়? এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখি।
আরও ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে জানিয়ে আশরাফ বলেন, শেখ হাসিনার কারণেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশ। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই দেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে সৈয়দ আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধালণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস