নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আবদুল মালেক নামের আরো এক আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন রাব্বানী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে একই আদালত আরো দুই আসামিকে জামিন দেননি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এবং তার বিরোধীপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
সেখানে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। ওই ঘটনায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরে বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা যান বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা মাওলানা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে। এ মামলায় কাদের মির্জার অনুসারী আবদুল মালেককে গত মার্চে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ অবস্থায় তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিতে রাজি হননি। আদালত তাদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আদেশ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ