টেইলর সুইফটের ‘মিডনাইটস’ মুক্তির পরপরই দুর্দান্ত সাড়া ফেলে দিয়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে অ্যালবামটি সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রেও গড়েছে অনন্য এক রেকর্ড।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশিত পপ তারকার নতুন অ্যালবামটি মুক্তির প্রথম তিন দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১.২ মিলিয়ন কপি বিক্রি করেছে।
অ্যালবামটির বিক্রির সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রির রেকর্ডসহ সপ্তাহের শেষে বিলবোর্ড অ্যালবাম চার্টের শীর্ষে থাকা নিশ্চিত করে ফেলেছে ‘মিডনাইটস’।
ইতিমধ্যেই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম অ্যালবাম হিসেবে উদ্বোধনী সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে ‘মিডনাইটস’-এর। অনেকেই অনুমান করছেন যে ‘মিডনাইটস’ প্রায় ১.৬ মিলিয়ন কপি ছাড়িয়ে যাবে, যা ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘১৯৮৯’ অ্যালবামটির রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
মিউজিক তারকারা আজকাল আগের মতো লক্ষাধিক অ্যালবাম বিক্রি করে না, কারণ অনেক শ্রোতা এখন অ্যালবাম কেনার চেয়ে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের দিকেই ঝুঁকছেন। তাই আগের মতো অ্যালবাম বিক্রির সেই বাজার আর নেই। অ্যাডেল এবং বিয়ন্সের মতো কিছু তারকার অ্যালবাম এখনো বড় পরিসরে বিক্রি হচ্ছে, তবে স্ট্রিমিং যুগে তাদের সেই সংখ্যাও কমে গেছে। টেইলর সুইফটের ‘মিডনাইটস’ সেই প্রতিযোগিতায় অতীতের তুলনায় বেশি কপি বিক্রি করেছে।
এদিকে স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং পরিষেবায়ও ‘মিডনাইটস’ ব্লকবাস্টার হয়েছে৷ লুমিনেটের মতে, প্রথম তিন দিনে অ্যালবামটি ২৮৪ মিলিয়ন স্ট্রিম করেছে। মুক্তির প্রথম দিনেই মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট স্পটিফাইতে এক দিনে সবচেয়ে বেশি স্ট্রিমিংয়ের রেকর্ডও গড়েছে ‘মিডনাইটস’। অ্যালবামের মূল সংস্করণে ১৩টি গান রয়েছে। কিন্তু অ্যালবামটি প্রকাশের তিন ঘণ্টা পর সুইফট সাতটি অতিরিক্ত গানসহ একটি ‘ডিলাক্স সংস্করণ’ প্রকাশ করেন। এর অতিরিক্ত গানের সংখ্যা অ্যালবামটির স্ট্রিমিংয়ে বেশ ভূমিকা রেখেছে।
অ্যালবামটি মুক্তির ঘোষণার সময় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ১১টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সুইফট বলেছিলেন যে অ্যালবামটি তাঁর জীবন ও অনুভূতির মিশ্রণে সবচেয়ে সেরা একটি কাজ হতে যাচ্ছে। অ্যালবামের ‘অ্যান্টি-হিরো’ তাঁর একটি প্রিয় গান। গানটি তিনি নিজেই লিখেছেন। গানটিতে তিনি তাঁর নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনের সাথে তাঁর সংগ্রামের গভীর অনুসন্ধান প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ২০২০ সালে টেইলর সুইফট তাঁর অ্যালবাম ‘ফোকলোর’ এবং এর ফলো-আপ ‘এভারমোর’ মুক্তি দেন মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে।
সূত্র : দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ