পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের সব বাঁধ প্রকল্পে বৃক্ষরোপণ চলমান থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ সাতক্ষীরায় আমরা দেখেছি, যেসব এলাকায় বনায়ন ছিল সেখানে নদীতীর ভাঙন কম হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে। তাছাড়া আম্ফানে সুন্দরবন বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা হয়ে কাজ করেছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গ্রীনরোডস্থ পানি ভবনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করে, নদীভাঙন থেকে মানুষকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ করতেই হবে।
গত ১৬ জুলাই মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি- ২০২০’ উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৬১০টি গাছ রোপিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপণের তালিকায় সারাদেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরিশাল জোন, খুলনা জোন এবং চট্টগ্রাম জোন। পওর বিভাগীয় তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরগুনা পওর বিভাগ, বাগেরহাট পওর বিভাগ এবং খুলনা পওর বিভাগ-২।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, অতিরিক্ত সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হাবীবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।