বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কালীগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে ফের দুদকের অভিযান কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়েও রক্ষা পেলেন না ৪ ফাঁসির আসামি কেনিয়ায় পার্লামেন্টে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের উপমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পুকুরে ফেলা গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে যাচ্ছে ডিবির দল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শিগগির কর্মসূচি: ফখরুল ‘দেশের মানুষকে আমরা কষ্ট দিয়েছি’ ক্ষমা চাইলেন শান্ত বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতি: অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে সড়কে নিহত ২৩০ জন : বিআরটিএ প্যানারমিক সানরুফসহ যেসব সুবিধা থাকছে নতুন মাহিন্দ্রা থারে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে মমতার অভিযোগ খারিজ মোদী সরকারের মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর উপকূলে নাজুক বেড়িবাঁধ যেন মরণ ফাঁদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিকাশে সম্মানী পাবেন ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারির কর্মীরা গোপন চুক্তি করলে এখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো : মির্জা ফখরুল ২৭ জুন পদ্মা সেতুর ৩১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর : সেতুমন্ত্রী ‘সামাজিক বিচারের মাধ্যমে মামলা কমিয়ে আনা সম্ভব’

সংবিধান ও আইন মেনেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা না করে কারাগারে কোর্ট স্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি বিধিসম্মত নয় বলে যে বিতর্ক চলছে তা দু:খজনক বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি আজ বুধবার বাংলা৭১নিউজকে  বলেন, যারা সমালোচনা করছেন তারা জেনেশুনেই আইনের সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।

সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রয়োজনে এবং বিচার কার্যের সুবিধার্থে যে কোন স্থানে আদালত স্থাপন করতে পারেন। তিনি বলেন, মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে।তিনি বলেন,  এটা ক্যামেরা ট্রায়াল যারা বলছেন তারা আইনের অপব্যখ্যা করছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে, ওই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির সব কারণই স্পষ্ট করে বলা আছে। তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে- যেখানে কাউকে কোনো ‘পাবলিক বা মিডিয়া’কে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তাঁর আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি তাঁর কোনো তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না। এমন যদি হয়, তাহলে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।

আইনমন্ত্রী একজন আইন বিশেষজ্ঞর নাম উল্লেখ না করে বলেন, কারাগারে আদালত স্থাপন নাকি সংবিধান সম্মত হয়নি। এর জবাবে তিনি সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেন।

‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডউর’ এর সেকশন ৯ এর ১ ও ২

এই অনুচ্ছেদে বলা আছে- সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে অপরাধ হিসেবে কার্য সংঘটনকালে বলবৎ আইন ভঙ্গ করার অপরাধ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না এবং অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দন্ড দেয়া যেত তাকে তার অধিক বা তা থেকে বিবেচ্য ভিন্নতর দন্ড দেয়া যাবে না। ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনত প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী। কোনো ব্যক্তিকে অত্যাচার করা কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দন্ড দেয়া বা তার সঙ্গে তদ্রূপ  ব্যবহার করা যাবে না।

এপ্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়িই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। এখানে সংবিধানের লংঘন তারা কোথায় দেখলেন, তা বোধগম্য নয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডউর’ এর সেকশন ৯ এর ১ ও ২ উপস্থাপন করে বলেন, সরকার প্রয়োজন মনে করলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যে কোন স্থানে আদালত স্থাপন করতে পারেন।

তিনি প্রত্যাশা করেন, কারাগারে কোর্ট স্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি বিধিসম্মত নয় বলে যে বিতর্ক উঠেছে আসা করি তার অবসান ঘটবে।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com