সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

শ্রীবরদীর সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান, আসছে গরু ও মাদকদ্রব্য

শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো বাড়ছে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী সীমান্তে গরু চোরাচালান। সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরাচালানকারীরা। ভারত থেকে উপজেলার গারো পাহাড়ের খারামোরা, তাওয়াকোচা ও হারিয়াকোনা এলাকার সীমান্ত দিয়ে বাড়ছে গরু ও মাদকদ্রব্য পাচার। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গতকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) সরেজমিন গেলে স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির সঙ্গে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য।

জানা যায়, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তঘেষাঁ গ্রামগুলোর পাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পোড়াকাশিয়া সীমানা। এখানে সীমানা পিলারের জিরো পয়েন্টে ভারতের কাটাতারের বেড়ার নিচে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গোলাকৃতির কালভার্টের ফাঁক। যেখানে কাঁটাতারের বেড়া শেষ সেখানে খোলা অংশ। কোথাও নদী বা নদীর ওপর ব্রিজ। এসব কালভার্ট, খাল আর ব্রিজের ফাঁকা স্থান ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা। বিএসএফ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পোড়াকাশিয়া থেকে আনছে গরু ও মাদক দ্রব্য।  

চোরাই পথে আসা এসব গরু বেচাকেনা হচ্ছে স্থানীয় সীমান্ত এলাকা খারামোরা, তাওয়াকোচা ও হারিয়াকোনা গ্রামে। ওইসব গ্রামের বাসিন্দা জানান, প্রায় ৩-৪ মাস যাবত ভারতের বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসছে গরু আর মাদকদ্রব্য। সপ্তাহের শনিবার দিবাগত ভোররাতেই বেশি আসে গরু।

এজন্য ওইসব গ্রামে প্রতি শনিবার সন্ধ্যা হতে জড়ো হতে থাকে পাইকাররা। বেচাকেনা হয় সীমান্ত ঘেঁষা ওইসব গ্রামে। এর পর পাহাড়ি পথ বেয়ে নিয়ে আসা হয় কর্ণঝোড়া, বালিজুরি, ভায়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন বাজারে। গরুর সঙ্গে আসছে মাদকদ্রব্য। এসব বিক্রি হয় সিক্রেট। তবে মাদক ব্যবসায়ীদেরও আনাগোনা প্রকাশ্যেই।

জানা যায়, খারামোরা গ্রামের তৈয়ব আলী, কালো গাজী, বালিজুরি গ্রামের বিষু আলী, আব্দুল হক, বাচ্চা গেল্লা, আব্দুর রহিম, অফিস পাড়ার নুর নবী, কর্ণঝোড়ার কমল আর বিপ্লব হলো এখানকার চোরাচালানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ইতিপূর্বে বিপ্লব ভারতের কাটাতারের বেড়া কাটতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেলা হাজতে ছিল। দেশেও একাধিকবার পুলিশ ও ডিবির জালে ধরা পড়ে।  

তবে শুধু বিপ্লবই না। এদের মধ্যে অনেকেই মাদক ও গরুসহ একাধিকবার পুলিশ ও বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। জেলও খেটেছে। এ ব্যাপারে কথা হয় বিপ্লবের সাথে। তিনি বলেন, এখানে অনেকেই ভারতের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা শুধু আমার নাম বলে। আমি এখন আর বর্ডারে যাইনা। এ ব্যাপারে অন্যদের সঙ্গে ফোনে বা সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।  

আরেক সূত্রে জানা যায়, সীমান্তের চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ করছে খারামোরা বর্ডারের আফছার আলী ও হারিকোনা বর্ডারে হাইদর আলী। ফলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে প্রবেশ করলেই মোবাইল ফোনে সতর্ক করে দেয়। ফলে নির্ভয়েই ব্যবসা করছেন চোরাচালানকারীরা। বিনিময়ে এ দুজন তাদের কাছ থেকে গরু প্রতি নেয় দুই শ থেকে তিন শ টাকা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গরু চোরাচালানকারী জানান, হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাঠানো হয়। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় গরু ও মাদকদ্রব্য। এতে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মামলা মোকদ্দমায় অনেকে এলাকা ছাড়া। তবুও থেমে নেই গরু চোরাচালান আর মাদক ব্যবসা।

খারামোরা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল হক জানান, এখানে স্থানীয় কয়েকজন জড়িত আছে। এছাড়া ভায়াডাঙ্গা, বালিজুরি, অফিসপাড়া ও কর্ণঝোড়া থেকে অনেকে আসে। তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা মানে না।  

তাওয়াকোচা বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল হাই জানান, এটি পাহাড়ি এলাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো না। তবুও আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি। প্রতিরাতেই টহল চলছে। সোমবার অভিযান চালিয়ে ২টি গরু আটক করা হয়েছে। এসব গরু নিলামে বিক্রি করা হবে। কেউ যদি গরু চোরাচালান বা মাদকের সন্ধান দিতে পারে তাহলে আমরা তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com