আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের ষড়যন্ত্রে বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, শেখ ফজলে নূর তাপস, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনুসহ অনেকেই জড়িত ছিল বলে জনগণ মনে করে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার ভূমিকা রসহ্যজনক মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এতজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার নজির নেই। এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর বিডিআর প্রধান সাহায্যের জন্য বলেছিলেন কিন্তু তখন কোনো সাহায্য করা হয়নি।
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ পিলখানায় সেনা সদস্যদের অপারেশন চালাতে নিষেধ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর আচরণ অত্যন্ত রহস্যজনক। সেনাবাহিনী যাতে কোনো অ্যাকশনে যেতে না পারে এজন্য তিনি গণভবনে তিন বাহিনীর প্রধানকে কোনো কাজ ছাড়াই বসিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের আগে আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর তোরাব আলীর বাসায় বিডিআর সদস্যদের বৈঠক হয়। সেখানে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা করা হয় কীভাবে লাশ গুম করা হবে।
হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। যা দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল, বিদেশি কোনো শক্তির হাত ছিল কি না, এটি এখনো ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবি ও একটি কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে অতি অল্প সময়ের মধ্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ধারণা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সেনাবাহিনীর মনোবল ভাঙার জন্য, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার জন্য, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থরাষ্ট্র করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস