ড্র করলেই সেমিফাইনাল, এমন সমীকরণ সামনে রেখে কাল মাঠে নেমেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু ড্র নয়, হেসেখেলেই জিতেছে শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠল দলটি। সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
শেখ জামালের গোল তিনটি এমেকা ডার্লিংটন, ল্যান্ডিং দারবোয়ে ও ওয়েডসন আনসেলমের। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার মোবারক।
‘এ’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল। ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে তাদের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা দুইয়ে থাকলেও সেমিতে ওঠার জন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’ সমীকরণের দিকে।
এবারের স্বাধীনতা কাপে মুক্তিযোদ্ধার জয় মানেই যেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আবু মুসার গোল। ৫ ম্যাচের যে তিনটিতে গোল পেয়েছেন মুসা, সেই ম্যাচগুলোতে জিতেছে মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু কাল মুসাকে একরকম বোতলবন্দীই করে রাখে শেখ জামাল। এরপরও মুসার একটি শট সাইড পোস্টে লেগে ফেরে। অন্যটি বারের ওপর দিয়ে তুলে দেন।
মুক্তিযোদ্ধার আছে একজন মুসা। কিন্তু শেখ জামালের আক্রমণভাগে যে ত্রিফলা! ওয়েডসন, এমেকা ও ল্যান্ডিং। ওয়েডসন দুটি গোল করিয়েছেন, নিজে করেছেন একটি।
১৪ মিনিটে ওয়েডসনের ক্রস থেকে এমেকা শেখ জামালকে প্রথমে এগিয়ে নেন। ৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ল্যান্ডিং। এবারও বলের জোগানদাতা সেই ওয়েডসন। ৪৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে ওয়েডসনের জোরালো শটে স্কোর ৩-০। ৪৯ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাকে পেনাল্টি উপহার দেন শেখ জামালের গোলরক্ষক হিমেল। মুক্তিযোদ্ধার ফরোয়ার্ড তৌহিদুল বল নিয়ে বক্সে ঢুকলে মুখে ঘুষি মারেন তিনি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মোবারক হোসেন (৩-১)।
টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত শেখ জামাল। কাল ম্যাচ শেষে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও সেটাই বললেন, ‘এএফসি কাপ ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মিলিয়ে এত ফুটবল খেলতে হচ্ছে ছেলেদের, ওরা ঠিকমতো বিশ্রামই পাচ্ছে না। আজ আমরা আরও বেশি গোল পেতে পারতাম। কিন্তু ৩ গোলের পর ছেলেরা নির্ভার হয়ে খেলেছে।’
হোম ও অ্যাওয়ে মিলিয়ে এএফসি কাপে ৬টি ম্যাচ খেলার কথা শেখ জামালের। এরই মধ্যে ৪টি শেষ। সব ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতেই শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২৬ এপ্রিল খেলবে সিঙ্গাপুরের টেম্পাইনস রোভার্সের সঙ্গে। এর আগে ২২ এপ্রিল খেলতে হবে স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। টেম্পাইন রোভার্সের সঙ্গে খেলতে নামার আগে তাই জয়ের ধারায় থাকতে চাইছেন শেখ জামাল কোচ, ‘ঘরের মাঠে টেম্পাইন রোভার্সের সঙ্গে অন্তত সম্মানজনক একটা ফল চাই। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে জয়ের বিকল্প নেই।’