রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইউক্রেনে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকবে উ. কোরিয়া ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৬ এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় অগ্নিদগ্ধ শ্রমিক সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা রংপুরে জাতীয় পার্টির লাঠি মিছিল, ভিপি নুরকে হুঁশিয়ারি হিমালয়ের আমা দাবলাম পর্বত জয় করলেন তানভীর ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি পেশ ‘অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে’ ১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ সেনাবাহিনী-পুলিশের গাড়িতে আগুন, তিনজন কারাগারে রাজবাড়ীর ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাহিদুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: খামেনি মেঘনায় স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত মধ্যপ্রাচ্যে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র ৩ নভেম্বর ঢাকার রানওয়ে স্পর্শ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স সরকার কোনো গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

শুরু হলো ‘অগ্নিঝরা মার্চ’

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ। মহান স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিন আজ। মার্চ আমাদের গৌরবের মাস। স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। ১৯৭১ সালের এই মাসে তীব্র আন্দোলনের পরিণতিতে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ।

বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ। সারাদেশই তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।

সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেন, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাণী হোটেলেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাইরে চলছিল বিক্ষুব্ধ বাঙালির কঠোর কর্মসূচির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক এবং ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন।

জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

১৯৭১ এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া এই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লাখও কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারিত হতে থাকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে উড়ছিল সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের পতাকা।

সেই শুরু। এরপর মার্চের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ২৫টি দিন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবণিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্রযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

এই পথ ধরে বাঙলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনেন একটি স্বাধীন দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

বাংলা৭১নিউজ/আরএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com