শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকারের কাছে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা অনেক: কর্নেল অলি হুঁশিয়ারি দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ইরাকি ড্রোন হামলায় ২৬ ইসরায়েলি সেনা হতাহত ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক ভারতের রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের যেভাবে অবজ্ঞার পাত্র বানানো হল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান জাহাজে আগুনের পর সমুদ্রে লাফ, এক নাবিকের মৃত্যু দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড চাঁদপুরে, জেলাজুড়ে জলাবদ্ধতা হাইতিতে অপরাধী চক্রের হামলায় শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা পুলিশের, এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ জন খালেদা জিয়ার বাসভবনে বালুর ট্রাক, মামলা হলো হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৭ বিশেষ ট্রেন শেরপুরে বন্যায় ২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ তিন চুক্তি করেও চাল না দেওয়া মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ৫ বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে বসেছিলেন মা ৪ হাজার টাকার সুদ দেড় লাখ! জমি লিখে নেন এনজিও মালিক বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩৬ মাওবাদী নিহত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে বিএনপি

‘শুধু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে আল্লাহকে ডাকছিলাম’

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। রবিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় ওই বাসে ছিলেন আনোয়ারা বেগম (২৫) ও তার শিশু সন্তান সাজ্জাদ। তারা দু’জনকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এরপর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে সেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন দ্বিতীয় জীবন পাওয়া আনোয়ারা বেগম।

তিনি বলেন, “হঠাৎ কি যে হলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে হলো মাথায় আসমান ভেঙে পড়তাছে। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে রেখে আল্লাহে ডাকছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই সব ঘটে গেল।”

উদ্ধারের পর অনেকটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন আনোয়ারা। কিছুক্ষণ পর ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠলেন এবং সন্তানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি।

বারবার আল্লাহকে ডাকছিলেন এবং আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাচ্ছিলেন তিনি। 

ঘোর কাটলে নিজের পরিচয় দেন আনোয়ারা। জানান, বাগেরহাটের মোল্লার হাট থেকে বাসে ওঠেন তিনি। আনোয়ারা ওই এলাকার গারফা গ্রামের তাহিম মোল্লার স্ত্রী।

আনোয়ারা বেগম বলেন, “এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুত গতিতে চলছিল। কিছুক্ষণ পরেই পদ্মাসেতু। এমন আলোচনা করছিল যাত্রীরা। হঠাৎ করেই গাড়িটি রাস্তা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছিল। ওই সময় শুধু সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছিলাম।”

তিনি বলেন, “বাগেরহাটের মোল্লার হাট থেকে ভোর ৬টায় গাড়িতে উঠি। ঢাকার ধানমণ্ডি বড় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হয় জ্ঞান ছিল না। গাড়ির মধ্য থেকে কে বা কারা বের করে আনছে তা মনে নাই! স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে এখনও।”

এদিকে খবর পেয়ে আনোয়ারার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন। এখন আর ঢাকায় বোনের বাসায় যাবেন না, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানান তিনি।

আনোয়ারা বেগমের ছেলে সাজ্জাদকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। মায়ের কোলে ছিলাম।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com