দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালযের সামনে বেলা ২টা থেকে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক ও জোবায়দার রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এ রায় দেওয়া হয়েছে। এতে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে না।
বিচার ব্যবস্থাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার- এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে। জাতিকে চিরস্থায়ীভাবে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অস্তিত্ব রক্ষার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময় আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। তবে এভাবে আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যাবে না, বন্ধ করা যাবে না। দাবি আদায় না করে জনগণ ঘরে ফিরবে না।
তিনি আরও বলেন, শুধু তারেক রহমান নয়, যে জোবায়দা রহমান রাজনীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানকে যে ধরনের মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের খালাস দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে ১৫টি মামালা ছিল। এ আদালতকে ব্যবহার করে সব মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি নেতাদের ২৫ বছর আগের মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে