বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ১৪ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নিজ ফ্ল্যাটে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান তিনি।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. তপন বাগচী ফেসবুক স্টাটাসে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
তপন বাগচী লেখেন, ‘গত সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তাঁকে রিকশায় তুলে দিলাম। কে জানতো এই আমাদের শেষ দেখা! গত ৪-৫ বছর তিনি একাডেমিতে এলে আমার কক্ষে দীর্ঘ সময় বসে থাকতেন! কত গল্প, কত ঝগড়া, কত স্বপ্ন, কত পরিকল্পনা! সব শেষ! ক্ষমা করবেন খালেক ভাই, গোপালগঞ্জের চিত্রাপাড়ার খালেক ভাই!’
খালেক বিন জয়েনউদদীন ১৯৫৪ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. জয়েন উদ্দীন। তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন।
তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। যুদ্ধকালে যশােরের বারােবাজারে ধরা পড়ে পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে অকথ্য নির্যাতন ভােগ করেন এবং ৭ মাস বন্দি ছিলেন।
তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ হলো–‘ধান সুপারি পান সুপারি’, ‘আপিল চাপিল ঘন্টি মালা’, ‘চিরকালের ১০০ ছড়া’, ‘হৃদয় জুড়ে বঙ্গবন্ধু’, ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী’, ‘হুমায়ুননামা’, ‘মায়ামাখা শেখ রাসেল’, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল’।
তিনি শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, সাউন্ডবাংলা সম্মাননা, তরিকত মিশন সম্মাননা, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পরিষদ সম্মাননা, কোটালীপাড়া গুণীজন সংবর্ধনা লাভ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ